অ্যারোমাথেরাপির সাত সতেরো ছবি: সংগৃহীত
অ্যারোমাথেরাপি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে কোনও ব্যক্তির সামগ্রিক স্বাস্থ্যোন্নতির জন্য বিভিন্ন উদ্ভিদের নির্যাস এবং সুগন্ধিকে ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের অপরিহার্য তেলও। কেউ কেউ একে এসেনশিয়াল অয়েল থেরাপিও বলে থাকেন। যাঁরা এই পদ্ধতির ব্যবহার করেন তাঁদের মতে, অ্যারোমাথেরাপি প্রাচীন আয়ুর্বেদ এবং আধুনিক বিজ্ঞানের মিশেল। ভারত ছাড়াও চিন ও মিশরের মতো প্রাচীন সভ্যতাগুলিতেও এই ধরনের পদ্ধতির খোঁজ মেলে।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
কী ভাবে প্রয়োগ করা হয়?
অ্যারোমাথেরাপিতে মূলত গন্ধ এবং ত্বকের শোষণ ক্ষমতাকে কাজে লাগানো হয়। এই কাজে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি ছড়ানোর যন্ত্র, ইনহেলার, স্নান করার বিশেষ ধরনের নুন, সাবান ও তেল ব্যবহার করা হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে মাসাজ, ভাপ দেওয়া কিংবা বিশেষ ধরনের কাদামাটি দ্বারা তৈরি মুখোশও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কী কী উপকার মিলতে পারে
যাঁরা এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করেন তাঁদের দাবি, সঠিক ভাবে প্রয়োগ করা হলে অ্যারোমাথেরাপি হরেক রকমের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। শুধু শারীরিক ভাবেই নয়, এই পদ্ধতিতে নাকি ভাল থাকে মানসিক স্বাস্থ্যও। কোন কোন সমস্যার সমাধান মিলতে পারে বলে দাবি করা হয় এই পদ্ধতিতে? দেখে নিন—
১। ব্যথা বেদনা
২। অনিদ্রার সমস্যা উদ্বেগ ও মানসিক চাপ
৩। অস্থিসন্ধির ব্যথা
৪। মাইগ্রেন ও মাথা যন্ত্রণা
৫। কেমোথেরাপির ফলে তৈরি হওয়া নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
৬। প্রসব বেদনা
৭। পৌষ্টিকতন্ত্রের সমস্যা
৮। অপ্রতুল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
৯। হাঁপানি
১০। লিঙ্গ শিথিলতা
তবে অধিকাংশ চিকিৎসকের মতে, এই বিষয়ে এখনও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন। তাঁদের মতে, অ্যারোমাথেরাপিকে এখনই মূল ধারার চিকিৎসা না বলে বরং আনুসাঙ্গিক চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে গণ্য করাই শ্রেয়। বিশেষত, অসুস্থ রোগীর উপর এই ধরনের যে কোনও পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হলে, সরকারি শংসাপত্র প্রাপ্ত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়াই বিচক্ষণতার পরিচয়।