শরীর উষ্ণ রাখতে ঘি বেশ কার্যকরী। ছবি: সংগৃহীত
পদ্মার ইলিশ আর পাবনার ঘি
জামাইয়ের পাতে দিলে আর লাগে কী?
ঘি নিয়ে এ রকম বিভিন্ন প্রবাদ প্রচলিত আছে। শুধু মুখের কথাতেই নয়, কাজের ক্ষেত্রেও ঘি অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে এই শীতকালে নানা ভাবে শীরের যত্ন নেয় ঘি।‘ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, শীতকালীন সর্দি-কাশি কমাতে, শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার। চিকিৎসকদের মতে, শীতকাল ঘি খাওয়ার একেবারে উপযুক্ত সময়। শরীর উষ্ণ রাখতে ঘি বেশ কার্যকরী। ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে সমৃদ্ধ ঘি দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। শরীরের পাশাপাশি ঘি ত্বকের যত্নেও দারুণ কাজ করে।
শীতকালে ত্বক কোমল রাখতে
শীতকাল বলে নয়, বছরের সব ঋতুতেই যাঁদের ত্বক শুষ্ক থাকে, তাঁদের জন্য ঘি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। খাওয়ার পাশাপাশি, এক ফোঁটা ঘি যদি সারা মুখে মালিশ করেন, তাহলে ত্বকে বাড়তি জেল্লা দেবে। এ ছাড়াও, শীতকালে ঘি খেলে ত্বকও হয়ে উঠবে কোমল ও মসৃণ। ঘি ত্বকে ভিটামিন ইও ভিটামিন কেসরবরাহ করে। ফলে ত্বক হয় উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
তারুণ্য ধরে রাখতে
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ঘি ত্বকের অকাল বার্ধক্যে রোধ করে। ত্বককে করে তোলে সজীব। এ ছাড়াও, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও ঘি বেশ উপকারী।
চোখের ক্লান্তি দূর করতে
করোনা আবহে বাড়ি থেকে কাজের ফলে অনেকেই আলাদা করে ত্বকের পরিচর্যা করার সময় পাচ্ছেন না। ফলে অত্যধিক পরিশ্রমের ছাপ পড়ছে চোখ-মুখে। কাজের ফাঁকে ক্লান্তি অনুভব করলে চোখের চারপাশে আঙুলদিয়ে হালকা করে ঘি মালিশ করে নিতে পারেন। নিমেষে চোখের ক্লান্তি দূর হবে। আপনাকেও দেখাবে ঝরঝরে ও প্রাণবন্ত।
ঠোঁট ফাঁটার সমস্যায়
শীতকাল পড়তেই ঠোঁট ফাটার সমস্যায় নাজেহাল হয়ে পড়েন অনেকেই। তাঁদের জন্য ঘি হতে পারে মহৌষধি। রাতে শোয়ার আগে বা চান করে উঠে আঙুলে করে ঘি নিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। সহজেই উপকার পাবেন।
ঘি আর কী কী ভাবে কাজ করে?
১) গ্যাস ও হজমের সমস্যা দূর করে
২) চোখের জ্যেতি বাড়ায়
৩) খিদে বাড়াতে সাহায্য করে
৪) মানসিক উদ্বেগ ও চাপ কমায়
৫) যেকোনও রকম ক্ষত দ্রুত শুকিয়ে দিতে সাহায্য করে