বর্ষশেষের রাত যে ভাবেই কাটান, কম্বল জড়িয়ে ঘুম যে হবে না, তা বোঝাই যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
রাত পোহালেই নতুন বছর। বর্ষশেষের রাত তাই জমজমাট হয়ে উঠবে উৎসবের আলোয়। নতুন বছরের উদ্যাপনে মেতে উঠবে শহর থেকে শহরতলি। হইচই, আনন্দ, উচ্ছ্বাসে ভরে উঠবে চারদিক। নতুন বছর উপলক্ষে অনেকেরই নানা পরিকল্পনা রয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে সারা রাত পার্টি করবেন বলেই ভেবে রেখেছেন অনেকে। রাত জেগে নতুন বছর শহর ঘোরার পরিকল্পনাও থাকে কারও। বর্ষশেষের রাত যে ভাবেই কাটান, কম্বল জড়িয়ে ঘুম যে হবে না, তা বোঝাই যাচ্ছে।
এক দিন ঘুম না হলে শরীরের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে উৎসব তো শেষ হওয়ার নয়। একের পর এক চলতেই থাকবে। সেই সঙ্গে ব্যাঘাত ঘটবে ঘুমেরও। কয়েক দিন ধরে এমন চলতে থাকলে, দেখা দিতে পারে নানা শারীরিক সমস্যা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের অভাবে প্রভাব পড়ে শরীরে। রাত জেগে থাকলে কী কী সমস্যায় আপনাকে ভুগতে হতে পারে?
মানসিক অবসাদ
ঘুমের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য। গবেষণাও তেমনটাই বলছে। কম ঘুম থেকে রাগ, হতাশা, উদ্বগের মতো অনুভূতিগুলি প্রকট হয়ে ওঠে। মনোযোগ কমে যেতে পারে। অস্থিরতা কাজ করে সব সময়। তাই শরীরের পাশাপাশি মনের খেয়াল রাখতেও পর্যাপ্ত ঘুমোনো প্রয়োজন।
এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
হজমে গোলমাল
ঠিক করে না ঘুমোলে হজমের গোলমাল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাতে ঘুম না হলে এমনিতে পেটে নানা রকম সমস্যা দেখা যায়। খাবার হজম না হওয়ার কারণে এমনটা হয় মূলত। কম ঘুমোলে শরীরে বিপাকহারও অনেক কমে যায়। বিপাকক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় না। তাই সুস্থ শরীরের জন্য ঘুম ভীষণ জরুরি।
প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
শরীরের প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে যে পরামর্শগুলি চিকিৎসকরা দিয়ে থাকেন, তার মধ্যে অন্যতম হল পর্যাপ্ত ঘুম। রোগবালাইয়ের সঙ্গে শরীর যাতে লড়াই করতে পারে, তার জন্য প্রয়োজন মজবুত প্রতিরোধ ক্ষমতা। ঘুমের ঘাটতি হলে শরীর ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। যে কোনও রোগ সহজেই বাসা বাঁধে শরীরে।
ডায়াবিটিস
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমোনোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। ঘুম কম হলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যেতে পারে। ডায়াবিটিস যাঁদের নেই, তাঁদেরও ঘুম কম হলে ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুধু ডায়াবিটিস নয়, কোলেস্টেরলের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে।