মাস খানেকের জন্য মদ্যপান বন্ধ করে দেখতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি অফিস থেকে মেডিক্যাল টেস্ট হয়েছে ঋতব্রতর। রিপোর্ট আসার আগে চিকিৎসকের একগাদা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। তখনই বুঝতে পেরেছেন যে রোগের মূলে হল ‘অ্যালকোহল’। যদিও রোজ মদ্যপান করার অভ্যাস নেই তাঁর। তবে সপ্তাহান্তে বন্ধুবান্ধব, সহকর্মীদের সঙ্গে একটু-আধটু খাওয়া হয়েই থাকে। সঙ্গে রগরগে তেলমশলা দেওয়া খাবার তো আছেই। তবে মদ্যপানের কথা চিকিৎসকের সামনে একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। ডাক্তারবাবু আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, একেবারে মদ্যপান ছেড়ে দেওয়ার দরকার নেই। কয়েকটা দিন একটু নিয়ম মেনে মদ্যপান বন্ধ রাখতে হবে। তার পর ধীরে ধীরে পরিমাণ কমিয়ে আনতে। তবে চিকিৎসকের মতে, সকলের শরীরে একই রকম প্রভাব পড়বে, তা নয়।
কয়েকটা দিন মদ্যপান বন্ধ রাখলেই ফল পাবেন। ছবি: সংগৃহীত।
১) লিভারের কার্যকারিতা
যাঁরা অতিরিক্ত মদ্যপান করেন, তাঁদের ‘সিরোসিস অফ লিভার’-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মদ্যপান বন্ধ করে দিলে লিভার আবার নিজের ছন্দে ফিরে আসতে পারে।
২) হার্ট
অতিরিক্ত মদ্যপান করলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে হার্টে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীর গায়ে সেই কোলেস্টেরল বা চটচটে পদার্থগুলি জমতে থাকে। ধমনীর পথ সরু হয়ে যায়। পর্যাপ্ত রক্ত হৃদ্যন্ত্রে না পৌঁছলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৩) ক্যানসার
‘আমেরিকান জার্নাল অফ পাবলিক হেল্থ’ বলছে, সেই দেশে ক্যানসারে মারা গিয়েছেন এমন মানুষদের মধ্যে ৩.৫ শতাংশের শরীরে মদের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। খাদ্যনালি, লিভার, মলদ্বার এবং গলার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে মদ্যপান। তবে মাস খানেক মদ্যপান বন্ধ রাখলে চট করে কোনও প্রভাব পড়ার কথা নয়।
৪) ওজন ঝরানো
যে কোনও প্রকার মদে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি। তাই এক মাস যদি কেউ মদ না খেয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে মেদ ঝরাতে সুবিধে হতে পারে।
৫) স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলে
লাগামছাড়া মদ্যপান একটা বয়সের পর স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দিতে পারে। ডোপামাইনের মতো হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। হঠাৎ মদ্যপান বন্ধ করলে ডোপামাইন ক্ষরণের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে মনে বিষাদ, খারাপ লাগার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।