রোজ চুমুক দিন দুধের গ্লাসে। ছবি: সংগৃহীত।
খুদেদের দুধ খাওয়ানো সবচেয়ে ঝক্কির বিষয়। এ কথা একবাক্যে স্বীকার করে নেবেন মায়েরা। সন্তানের খাওয়াদাওয়ার বিষয়টি সাধারণত মায়েদের দায়িত্বেই থাকে। খুদে ছুটে পালাচ্ছে আর দুধের গ্লাস হাতে মা সন্তানের পিছু নিয়েছেন— অত্যন্ত পরিচিত একটি দৃশ্য। বাড়িতে বাচ্চা থাকলে এ দৃশ্যের জন্ম হয় রোজই। শিশুর বেড়ে ওঠার সময় দুধ খাওয়া জরুরি। প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি পূরণ করে দুধ।
দুধ নিঃসন্দেহে উপকারী। কিন্তু দুধ খাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। দুধ খাওয়াচ্ছেন মানেই শরীরে যত্ন নেওয়া শেষ হয়ে গেল না। কারণ, দুধে থাকা পুষ্টিগুণ শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে পাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।পুষ্টিবিদদের মতে, বাচ্চাদের দুধ খাওয়ার সঠিক সময় হল সকালবেলা। তবে রাতে দুধ খাওয়ার কিছু বাড়তি সুবিধা রয়েছে। রাতে দুধ খেলে ঘুম হয় ভাল। শরীর অধিক পরিমাণে ক্যালশিয়াম শোষণ করতে পারে। তাই রাতে দুধ খাওয়া সবচেয়ে ভাল। দুধ খাওয়ার সময় যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কতটা পরিমাণে দুধ খাচ্ছেন, সেটাও জরুরি। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, সারা দিনে অন্তত ২-৩ কাপ দুধ খেতে পারেন। তার বেশি নয়। কারণ দুধ শরীরের জন্য উপকারী হলেও বেশি খেলে কিন্তু গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাচ্চা হোক বা বড়, রোজ দুধ খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়?
১) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুধ বেশ উপকারী। রোজ যদি পরিমাণে অল্প হলেও দুধ খান, তা হলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। তাই রোগা হওয়ার ডায়েটে নিঃসন্দেহে দুধ রাখতে পারেন।
২) দুগ্ধজাত খাবারে সমস্যা না থাকলে যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ খেয়ে ঘুমাতে পারেন।
৩) দুধে থাকা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ শরীরের ভিতর থেকে শক্তি জোগায়। মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ দূরে রাখতে সাহায্য করে।
৪) দাঁতে পোকা, দাঁত ক্ষয়ে যাওয়া, দাঁতে হলুদ ছোপের মতো দাঁত সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে দুধে। কারণ, ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ দুধ দাঁত ভাল রাখে।