প্রতীকী ছবি।
এমনিতে তাড়াতাড়ি ঘুমের অভ্যাস। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে মাঝরাতের আগে ঘুমোতে পারছেন না। কাজ কিংবা সংসারের চাপে অনেকের এমন হয়। খাওয়া-ঘুমের সময় বদলে ফেলতে হয়। হয়তো রাত ১০টায় ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাস, কিন্তু এখন রাত ৩টের আগে শুতে যাওয়া সম্ভবই হচ্ছে না। এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন বাড়ির সকলে। ভাবছেন শরীর খারাপ হয়ে যাবে। কিন্তু হঠাৎ ঘুমের সময় বদলে গেলে কি সত্যি তেমন কিছু হতে পারে?
ঘুমের সময় পরিবর্তন হলে তার কী প্রভাব পড়তে পারে শরীরের উপর?
বদলের পরেও সারা দিনে কত ক্ষণ ঘুমোচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করে শরীরের উপর কী প্রভাব পড়বে। এমনই মনে করেন অধিকাংশ চিকিৎসক। কিন্তু যা মূলত দেখা যায়, তা হল, ঘুমোতে যাওয়ার সময় বদলালে ঘুমও কম হয়। এর কারণ হিসাবে চিকিৎসকরা খেয়াল করেছেন, ঘুমোতে যাওয়ার সময় বদলে গেলে অনেকের ঘুমের সময়ও কমে যায়। কারণ নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে না গেলে ঠিক করে ঘুম আসে না। ভেঙে ভেঙে যায়। দিনের পর দিন এমন চলতে থাকলে ক্লান্তি আসে শরীরে। কাজের ক্ষমতা কমে যায়। অন্যান্য অসুস্থতাও দেখা দিতে পারে।
কিন্তু এই পরিস্থিতি সামলে নেওয়া সম্ভব। তার জন্য ঘুম আসার সময়টা নিজের মতো করে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অনেকেই এমন আছেন, যাঁরা যে সময়ে চান, তখনই ঘুম আসে।
প্রতীকী ছবি।
কী করতে হবে এই পরিস্থিতি সামলাতে চাইলে?
চিকিৎসকদের প্রথম পরামর্শ হল, নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করলে শরীর বাইরে থেকে যেমন নমনীয় হয়, ভিতর থেকেও হতে পারে। যেমন হাত-পা চলে আপনার ইচ্ছামতো, তেমনই খাওয়া-ঘুমের সময়ও নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এ ছা়ড়াও একটি কাজের কথা বার বার মনে করাচ্ছে চিকিৎসকরা। তা হল, যে কোনও সময়ে ঘুমোতে যাওয়ার আগেই কিছু ক্ষণ ধ্যান করতে হবে। তা হলেই তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে। মাঝরাতে ভেঙেও যাবে না ঘুম।