পাশবালিশ না জড়িয়ে শুলে অনেকেরই ঘুম আসে না। ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিন বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড় করলেও রাতে বাড়ি ফিরে আসা চাই শ্রেয়ার। বাড়ির বিছানা আর সাধের পাশবালিশ ছাড়া তার ঘুমই আসতে চায় না। বিশেষ করে পাশবালিশটি তাঁর বড় প্রিয়। পাশবালিশ না জড়িয়ে শুলে কিছুতেই চোখের পাতা এক করতে পারেন না। পাশবালিশ নিয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস শ্রেয়ার মতো আরও অনেকেরই রয়েছে। এক বার কোলবালিশ নিয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস হয়ে গেলে, তা সহজে ছাড়া যায় না। দু’হাঁটুর মাঝে কোলবালিশ রেখে ঘুমোলে তাড়াতাড়ি ঘুমও চলে আসে। কিন্তু কোলবালিশ নিয়ে ঘুমোনোর অভ্যাসে কি কোনও সমস্যা হতে পারে? সাম্প্রতিক সমীক্ষা জানাচ্ছে, কোলবালিশ নিয়ে ঘুমোলে কোনও সমস্যা হওয়ার তো কথা নয়, বরং এর বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে।
১) পিঠ, কোমরে ব্যথা হলে পাশবালিশ নিয়ে ঘুমোলে উপকার পেতে পারেন। পাশবালিশ পায়ের মাঝে থাকলে কোমর ও পিঠের নীচের অংশ যে ভঙ্গিতে থাকে, তাতে ব্যথা অনেকটা সেরে যায়।
২) দু’পায়ের মাঝে কোলবালিশ নিয়ে ঘুমোলে ঘুমের সময়ে মেরুদণ্ড স্বাভাবিক ভঙ্গিতে থাকে। সমীক্ষা জানাচ্ছে, ঘুমের অঙ্গভঙ্গি ঠিক না থাকলে পরবর্তী কালে হাড়ের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। কোলবালিশের নিয়মিত ব্যবহার সেই ঝুঁকি কমায়।
ঘুমের সময় পাশবালিশ পায়ের মাঝে থাকলে ব্যথা-বেদনা কমে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) বিভিন্ন কারণে অনেক সময়ে সায়াটিকা স্নায়ুগুলি কার্যক্ষমতা হারায়। এর ফলে কাঁধ থেকে শুরু করে কোমর পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে। এই ব্যথা সহজে কমতে চায় না। অনেকেই ওষুধ খান, হাঁটাচলা করেন তবুও সমাধান মেলে না। তবে কোলবালিশ নিয়ে ঘুমোনোর অভ্যাসে অনেকে সময়ে সুফল পাওয়া যায়।
৪) অনেকেই আছেন, যাঁরা পাশ ফিরে না শুয়ে চিত হয়ে ঘুমোতে ভালবাসেন। সে ক্ষেত্রে পিঠের নীচে একটা পাতলা পাশবালিশ রাখতে পারেন। পিঠে ব্যথা না থাকলেও এর ফলে পিঠের পেশিগুলি সচল থাকে, ফলে ব্যথা হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা কমে।