কাকে বলে এক্টোপিক গর্ভাবস্থা? ছবি: সংগৃহীত
সাধারণ গর্ভাবস্থায় নিষিক্ত ডিম্বানু ডিম্বনালীর (ফ্যালোপিয়ান টিউব) মাধ্যমে জরায়ু গহ্বরে থাকে। কিন্তু এক্টোপিক গর্ভাবস্থায় নিষিক্ত ডিম্বানু জরায়ু গহ্বরের বাইরে স্থাপিত হয়। সন্তানধারণের প্রথম পর্যায়ে অন্তসত্ত্বার মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। এক্টোপিক গর্ভাবস্থায় ভ্রূণটি যত বাড়তে থাকে, তত বেশি রক্তপাত হয় এবং ডিম্বনালীর ক্ষতি হয়। এমনকি সঠিক চিকিৎসা না হলে অন্তসত্ত্বার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
শ্রোণি প্রদাহজনিত রোগ (পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ), ইন্ট্রাইউটেরাইন ডিভাইস (এক প্রকারের জন্ম নিয়ন্ত্রক যন্ত্র), যৌন সংক্রমণজনিত রোগ (এসটিডি) থাকলে এবং অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পূর্ববর্তী সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এমন মহিলাদের ক্ষেত্রে এক্টোপিক গর্ভাবস্থার ঝুঁকি বেশি। সারা বিশ্বে অন্তসত্ত্বাদের ০.২৫ থেকে ২ শতাংশ মহিলার ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যায়।
উপসর্গ—
১। সন্তানধারণের প্রথম ছয় সপ্তাহের মধ্যে সাধারণ অন্তসত্ত্বা ও এই রোগে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে তেমন কোনও পার্থক্য দেখাও যায় না। কিন্তু ছয় সপ্তাহ পর থেকে যোনি থেকে রক্তপাত শুরু হতে পারে রোগীর।
২। আচমকা তলপেট বা শ্রোণি দেশে ব্যথা শুরু হতে পারে। সাধারণ পেট ব্যথার সঙ্গে এর পার্থক্য হল, এই ব্যথা হঠাৎ কমে যায়, কখনও পেটের একটি পাশে দেখা যায় ব্যথা।
৩। কারও কারও ক্ষেত্রে ঘাড়ে ব্যথা দেখা যেতে পারে, এই ব্যথা শোওয়ার পড়ে বৃদ্ধি পায় আরও বেশি
৪। মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
৫। অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলে রোগী জ্ঞান হারাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব নিয়ে যেতে হবে হাসপাতালে।