কলেরা চিনবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত
বর্ষাকাল মানেই হরেক রকম রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে বর্ষা এলেই বেড়ে যায় কলেরার মতো রোগের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে হানা দিয়েছে এই রোগ। কী ভাবে বর্ষার এই দিনগুলিতে কলেরা থেকে সুরক্ষিত রাখবেন নিজেকে?
কী এই রোগ?
ভিব্রিও কলেরি নামক একটি ব্যাক্টেরিয়ার প্রভাবে এই রোগ তৈরি হয়। পানীয় জলের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই রোগ। মনে পড়ে শরৎচন্দ্রের লেখা? সত্যিই আক্রান্ত ব্যক্তির বর্জ্য পানীয় জলে মিশলে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় বহু গুণ। কাজেই অপরিচ্ছন্নতা বহুলাংশেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার জন্য দায়ী।
লক্ষণ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী তীব্র জ্বর, ওজন কমে যাওয়া, আকস্মিক তীব্র জলশূন্যতা, মাথা ঘোরানো, বমিভাব, হজমের সমস্যা, নিম্ন রক্তচাপের মতো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায় এই রোগে। এক বার ব্যাক্টেরিয়া দেহে প্রবেশ করলে উপসর্গ দেখা দিতে সময় লাগতে পারে ১২ ঘণ্টা থেকে ৫ দিন। ব্যাক্টেরিয়াটি থেকে এক ধরনের এন্টেরোটক্সিন তৈরি করে যা তীব্র জলশূন্যতা তৈরি করতে পারে। সময় মতো চিকিৎসা না হলে, রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
প্রতীকী ছবি ছবি: সংগৃহীত
কোন পথে রক্ষা?
বিশেষজ্ঞদের মতে, কলেরা দূরে রাখতে চাইলে বিশুদ্ধ জল খাওয়া আবশ্যিক। তাই জল ফুটিয়ে খাওয়াই বাঞ্ছনীয়। বাইরের খাবার, কাটা ফল কিংবা দুগ্ধজাত পদার্থ এড়িয়ে চলাই ভাল। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাও খুবই জরুরি। এক বার রোগাক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকা ছাড়া উপায়ান্তর নেই। সঙ্গে খেতে হবে পর্যাপ্ত জল এবং ‘ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন’ বা ‘ওআরএস’। চিকিৎসকরা প্রয়োজন মতো অ্যান্টি-বায়োটিক জাতীয় ওষুধ দিতে পারেন।