ছবি: সংগৃহীত।
স্বাস্থ্যসচেতনদের কথা আলাদা। তবে অনেকেই শুধুমাত্র পুজোয় বাহারি পোশাক পরবেন বলে উৎসবে রোগা হওয়ার তোড়জোড় করেন। পুজোর প্রায় এক থেকে দেড় মাস আগে থেকে ডায়েট শুরু করেন। খুব কষ্ট করে হলেও বাইরের খাবার থেকে দূরে নিজেকে দূরে রাখেন। খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে যতই কঠিন নিয়ম মেনে চলুক, সকালে বিছানা ছেড়ে জিমে যেতে একেবারেই ইচ্ছুক নন অনেকেই। রোগা হওয়ার অন্যতম ধাপ শরীরচর্চা। তবে অনিচ্ছায় শরীরচর্চা করেও বিশেষ কোনও লাভ হয় না। তার চেয়ে শরীরচর্চার বিকল্প হিসাবে কিছু নিয়ম যদি মেনে চলেন, তা হলে খানিকটা লাভ হতে পারে। কী কী নিয়ম মানবেন?
১) পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বডি মাস ইন্ডেক্স (বিএমআই) বেড়ে যেতে পারে। আর বডি মাস ইনডেক্স বেড়ে যাওয়ায় অর্থ ওজন বৃদ্ধি। চিকিৎসকেদের মতে, এক জন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ছ’ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। ঘুম পর্যাপ্ত হলে শুধু ভিতর থেকে ফিট থাকবে শরীর। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজনও।
২) মানসিক চাপ বেশি থাকলে ওজন বাড়বেই। তাই প্রথমে উদ্বেগ, মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। রোজ ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমনোর চেষ্টা করুন। কোনও বিশেষ কারণে মানসিক চাপ থাকলে সেগুলির সমাধান করার চেষ্টা করুন। কী করলে চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে সেগুলি খুঁজে বার করুন। যোগাসন করতে পারেন। ধ্যান করলেও মানসিক চাপ কম হবে।
৩) দ্রুত রোগা হওয়ার আরও একটি উপায় হল প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া। তবে জল খাওয়ারও নিয়ম আছে। নিয়ম মেনে জল খেলে খিদে কম পাবে এবং হজমের সমস্যাও মিটবে। তাতে ওজন কমার সুযোগ থাকবে বেশি। বিশেষ করে দুপুর বা রাতের খাবার খাওয়ার আগে জল খেতে পারেন। তাতে বেশি খাবার খেয়ে ফেলার প্রবণতা কমবে