পেট ও লিভারের সমস্যা থাকলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। ছবি-প্রতীকী
কথা বলতে গেলেই দূরে সরে যাচ্ছেন মানুষ? কারণ হতে পারে মুখের দুর্গন্ধ। সাধারণত দাঁত, দাঁতের গোড়া, মাড়ি, জিভ, মুখগহ্বরের কোনও রকম সংক্রমণ হলে মুখে দুর্গন্ধ হয়। তাই খাওয়ার পর ঠিক মতো মুখ না ধুলে, পর্যাপ্ত জল না খেলেও মুখে গন্ধ হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, পেট ও লিভারের সমস্যা থাকলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। এই ধরনের সমস্যা ছাড়াও আরও একটি কারণে মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হতে পারে— কিছু কিছু পৌষ্টিক উপাদানের ঘাটতি।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পৌষ্টিক উপাদান। এটি ক্যালসিয়াম শোষণ করতে শরীরকে সাহায্য করে। পাশাপাশি বজায় রাখে দাঁতের স্বাস্থ্য। কিন্তু খাবার-দাবার থেকে সচরাচর এই উপাদান সহজে পাওয়া যায় না। তাই অনেক ক্ষেত্রেই ভিটামিন ডি-র ঘাটতি দেখা যায় শরীরে। দেহে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি না থাকলে দাঁতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ক্ষয়ে যেতে পারে এনামেল। ফলে দাঁতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়, যা মুখের দুর্গন্ধের কারণ।
ভিটামিন সি
মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ ভিটামিন সি-এর ঘাটতি। এই ভিটামিনের ঘাটতির ফলে মুখে বিভিন্ন ধরনের ক্ষত দেখা যায়। এই ক্ষত থেকে মুখে সংক্রমণ ঘটতে পারে। মুখে জীবাণু সংক্রমণ দেখা দিলে দুর্গন্ধ তৈরি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। লেবু জাতীয় ফল, ব্রকোলি কিংবা বেরি খেলে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি পূরণ হতে পারে।
পর্যাপ্ত জল না খেলেও মুখে গন্ধ হতে পারে। ছবি- সংগৃহীত
আয়রন
রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার অন্যতম প্রধান কারণ আয়রনের ঘাটতি। আর অ্যানিমিয়ার ফলে অনেক ক্ষেত্রে মুখে দুর্গন্ধ হয়। কাজেই দেহে আয়রনের ঘাটতি থাকলে তার লক্ষণ হতে পারে মুখের দুর্গন্ধ।
জিঙ্ক
মুখগহ্বরে ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে গেলে মুখে দুর্গন্ধ হয়। এই ধরনের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ আটকাতে জিঙ্ক অত্যন্ত কার্যকর। দেহে জিঙ্কের পরিমাণ কমে গেলে বেড়ে যেতে পারে মুখে দুর্গন্ধের সমস্যাও।