মধুতে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও ভরপুর মাত্রায় থাকে। ছবি: সংগৃহীত
গ্রীষ্মের দিনে খাদ্যতালিকায় দই রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। এ সময়ে শরীর সুস্থ রাখতে দইয়ের কোনও জুড়ি নেই। প্রোবায়োটিক হিসাবে কাজ করে দই। অনেকেই টক দই খেতে পারেন না। স্বাদ বাড়াতে চিনি মিশিয়ে খান। তবে এই অভ্যাসে কিন্তু স্বাস্থ্যের উপকারের তুলনায় ক্ষতিই বেশি হয়। টক দইয়ের স্বাদ বাড়তেই হলে চিনি কিংবা গুড়ের পরিবর্তে মধু মেশান। এই খাবার আদতে কিন্তু সুস্বাস্থ্যের দাওয়াই।
মধুতে ১৭ শতাংশ জল, ৩১ শতাংশ গ্লুকোজ এবং ৩৮ শতাংশ ফ্রুক্টোজ থাকে। এ ছাড়া মধুতে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও ভরপুর মাত্রায় থাকে। মধুতে রয়েছে জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং পটাশিয়াম। এক টেবিল চামচ মধুতে ৬৪ ক্যালোরি এবং ১৭.৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে, যার মধ্যে ১২ গ্রামের বেশি শর্করা থাকে।
স্বাস্থ্যের জন্য কেন ভাল দই-মধু?
১) দইতে ভাল মাত্রায় প্রোটিন থাকে আর মধু শর্করার দারুণ উৎস। যাঁরা নিয়মিত ভারী শরীরচর্চা করেন তাঁরা নিজের রোজের খাদ্যলালিকায় দই-মধু রাখতে পারেন। পেশির শক্তি বাড়াতে এই খাবার দারুণ উপকারী।
প্রতীকী ছবি
২) দই ও মধু এই দুই উপাদানই প্রোবায়োটিকের দারুণ উৎস। গরমের সময়ে কমবেশি সকলেরই পেটের সমস্যা লেগে থাকে। একটু তেলমশলাদার খাবার, ভাজাভুজি খেলেই পেটের বারোটা বাজে। তাই গরমের দিনে পেট ঠান্ডা রাখতে এবং পেটের সংক্রমণ এড়াতে রোজ পাতে রাখুন দই-মধু।
৩) বয়স বাড়লেই গাঁটের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। ৫০ পেরোলেই মহিলাদের শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। দই-মধু ক্যালশিয়ামের ভাল উৎস। তাই রোজ খাবার পাতে রাখুন দই-মধু। হাড় মজবুত হবে। এই মিশ্রণ অস্টিওপোরোসিস রোগের ঝুঁকি কমায়।
৪) দই এবং মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। গরমে ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে, ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত পাতে রাখুন দই মধুর মিশ্রণ।