কোন কোন খাবার খেলে নেশা তো কাটবেই, শরীরও চনমনে হবে। ছবি: ফ্রিপিক।
সপ্তাহান্তে রাতভর পার্টি পরিকল্পনা থাকে অনেকেরই। বাড়িতে বন্ধুবান্ধবদের ডেকে খাওয়াদাওয়া, মদ্যপানও চলে দেদার। এ দিকে, অনেক রাত পর্যন্ত পার্টি করার পর হ্যাংওভারের জেরে সকালে অফিস বা অন্য কাজ করায় অসুবিধা হতে পারে। ফলে ব্যস্ত জীবনে ছন্দপতন ঘটে। নেশার জেরে মাথাঘোরা, মাথাব্যথা, বমি ভাব থাকে। যদিও বাজারে এখন হ্যাংওভার কাটানোর নানা রকম ওষুধ পাওয়া যায়। কিন্তু সে সব ওষুধের অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। অনেকে আবার নেশা কাটাতে প্রচুর চা-কফি খেয়ে ফেলেন। এতে কি আদৌ কোনও লাভ হয়? নেশা কাটিয়ে চনমনে হতে কোন কোন খাবার খেলে ভাল তা জেনে রাখুন।
১) নেশা কাটাতে সবচেয়ে কার্যকরী হল কলা। কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা শরীরে খনিজ উপাদানগুলির ভারসাম্য বজায় রাখে। নেশার পরে শরীরে যে অস্বস্তি হয়, তা থেকে রেহাই দিতে পারে কলা।
২) ডিমও এ ক্ষেত্রে খুবই ভাল। তবে ডিমের ভুর্জি বা ভাজা নয়, সিদ্ধ ডিম খেতে হবে। ডিমের প্রোটিন ও অ্যামাইনো অ্যাসিড লিভারকে ‘ডিটক্স’ করে, অর্থাৎ দূষিত পদার্থ বার করে দেয়। ফলে নেশার প্রভাব কমে আসে।
৩)রাতভর পার্টির পরদিন সকালে খিদে পেলে কোনও ভাজাভুজি নয়, হালকা টোস্ট খান। মদ্যপানের পরে শরীরে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ কমে যেতে পারে। সে কারণে প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা শুরু হতে পারে। পাউরুটির কার্বোহাইড্রেট শরীরের অতিরিক্ত অ্যালকোহল শুষে নিয়ে, নেশার প্রভাব কমিয়ে দিতে পারে।
৪)ডাবের জলও খুব ভাল। অতিরিক্ত মদ্যপানের পরে শরীরে যে জলের ঘাটতি হয়, তা পুষিয়ে দিতে পারে ডাবের জল। তা ছাড়া ডাবের জলের খনিজ উপাদানগুলি শরীরের ক্লান্তি দূর করে।
৫) অনেকেই মনে করেন, মদ্যপানের পরে চা বা কফি খাওয়া ভাল। এ ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর পরামর্শ, কফির ক্যাফিন শরীরে অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে পারে। সকলের জন্য কফি কার্যকরী না-ও হতে পারে। সে জন্য আদা দিয়ে লিকার চা খান। এতে মাথা ঘোরা, বমি ভাব কমে যাবে।
৬) ওট্মিল খেলে নেশার প্রকোপ তো কমবেই, মদ্যপানের জন্য যে শারীরিক সমস্যাগুলি হয় সেগুলিও কমে যাবে। শরীরে পুষ্টি উপাদানগুলির ভারসাম্য বজায় থাকবে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রিত হবে। ক্লান্তিভাব কমে যাবে।