দুধে অরুচি হলে দুধের কিছু বিকল্প আছে। ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে সুষম খাবার খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। সব্জি থেকে শুরু করে মাছ— ভিতর থেকে ফিট থাকতে এই ধরনের খাবার বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। সুষম খাবারের তালিকায় সবচেয়ে উপরের দিকে রয়েছে দুধ। দুধে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। দাঁত এবং হাড়ের যত্ন নিতে ক্যালশিয়ামের জুড়ি মেলা ভার। রোজ যদি এক কাপও দুধ খাওয়া যায়, তা হলে বার্ধক্যে হাড়ের যন্ত্রণায় ভুগতে হবে না। তবে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা ‘ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট’। দুধ খেতে পারেন না। দুধ না খাওয়ার ফলে শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি তৈরি হয়। সেখান থেকেই হাড় ক্ষয়ে যাওয়া, ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। সুস্থ থাকতে দুধ খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। তবে দুধে অরুচি হলে দুধের কিছু বিকল্প আছে। সেগুলি নিয়ম করে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
সয়া দুধ ছবি: সংগৃহীত।
সয়া দুধ
হাড় সুস্থ রাখতে ও মজবুত করতে সয়া দুধ সত্যিই উপকারী। ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম এবং অন্যান্য উপকারী উপাদানে সমৃদ্ধ সয়া দুধ হাড়ের যত্ন নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তা ছাড়া, দুধের বিকল্প হিসাবেও সয়া দুধ খেতে পারেন অনায়াসে।
স্মুদি
ফল বা বিভিন্ন সবুজ, সতেজ সব্জি দিয়ে তৈরি স্মুদি শরীর ভিতর থেকে যত্নে রাখে। শরীরের ভিতরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি হাড় ভাল রাখতেও অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন কে, সি, ডি, বি১২, ফাইবার আছে, এমন ফল কিংবা সব্জি দিয়ে মনের মতো করে স্মুদি বানিয়ে নিতে পারেন। দুধ খেতে না চাইলে তার পরিবর্তে এমন স্বাস্থ্যকর স্মুদি খাওয়ার অভ্যাসে বয়সকালেও হাড়ের সমস্যা হবে না।
আঙুরের রস
শরীর ভাল রাখতে আঙুর অত্যন্ত উপকারী। হাড়ের যত্ন নিতেও অপরিহার্য এই ফল। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আঙুর হাড় মজবুত ও শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে। হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমায় আঙুর। হাড় ভাল রাখতে গোটা আঙুর খাওয়ার পাশাপাশি আঙুরের রস তৈরি করেও খেতে পারেন। এতে বাড়তি উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।