ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও কার্যকর ঘি । ছবি সংগৃহীত
ঘি যদি ঢালতেই হয়, ভস্মে না ঢেলে থালায় ঢালাই ভাল। কারণ আর কিছুই নয়, ঘিয়ে রয়েছে একাধিক উপকারিতা যা স্বাদের সঙ্গে খেয়াল রাখে স্বাস্থ্যেরও। জেনে নিন কী কী কারণে শীতকালে ঘি খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
ঘিতে এ, ডি, ই, কে প্রভৃতি ভিটামিন থাকে যা স্নেহ পদর্থে দ্রবীভূত হয়। এই ভিটামিনগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত উপযোগী। পাশাপাশি ঘি শরীরের বিভিন্ন খনিজ পদার্থ শোষণের ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। বিশুদ্ধ দেশি ঘি জীবাণুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, ফলে দূরে থাকে সাধারণ সর্দি কাশির সমস্যা।
ঘিয়ে রয়েছে একাধিক উপকারিতা। ছবি সংগৃহীত
২। পরিপাকের সমস্যার উপশম
ঘিয়ে প্রচুর পরিমাণে বিউটারিক অ্যাসিড থাকে। যা এক ধরনের স্বল্প দৈর্ঘ্যের শৃঙ্খল যুক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড। অন্ত্রের কোষগুলিকে ভাল রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। এমনকি, আয়ুর্বেদে অন্ত্রের অসুখ নিরময়ে পথ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে ঘি। মলাশয়ের সমস্যাতেও কাজে আসে এই বিউটরিক অ্যাসিড।
৩। স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি
ঘিয়ে থাকে সম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড যা স্নায়ুর সংবেদনশীলতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। স্নায়ু কোষের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও ঘি বেশ উপকারী বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
৪। ত্বকের পরিচর্যা
ঘিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, থাকে প্রদাহ নির্মূলকারী উপাদানও যা ত্বকের যত্নের জন্য বেশ উপযোগী। এতে চামড়ার দগছোপ, বলিরেখা, চুলকানির মতো সমস্যা কমে অনেকটাই। দেহের বিষাক্ত উপাদানগুলি দেহের বাইরে বার করে দিতেও সাহায্য করে ঘি। প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও বেশ কার্যকর ঘি। ফলে শুষ্ক শীতে ত্বকের শুষ্ক ভাব কমাতে কাজে আসতে পারে ঘি।