কোন ধরনের পানীয় নিশ্চিন্তে খাওয়ায় যায়, তা নিয়ে বেজায় বিড়ম্বনায় পড়েন ডায়াবেটিক রোগীরা। ছবি: সংগৃহীত
ডায়াবিটিস থাকলে খাওয়াদাওয়ায় নানা রকম বিধিনিষেধ চলে আসে। কী খাবেন, কখন খাবেন, কতটা খাবেন— সবই কড়া নিয়মের মধ্যে বাঁধা পড়ে। যাঁদের চা-কফি খাওয়ার নেশা, তাঁদের বিনা চিনিতে তা খাওয়ার অভ্যাস করতে হয়। গরমে তেষ্টা মেটানোর জন্য যে নিশ্চিন্তে ফলের রস খাবেন, সে উপায়ও নেই ডায়াবেটিক রোগীদের। গোটা ফল খাওয়ায় কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ফলের রস বানালে ফলের ফাইবার সব কমে গিয়ে ফ্রুকটোজে পরিণত হয়। ফ্রুকটোজ অতি সহজেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই কোন ধরনের পানীয় নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়, তা নিয়ে বেজায় বিড়ম্বনায় পড়েন ডায়াবেটিক রোগীরা। কিন্তু এমন কিছু পানীয় রয়েছে যা গরমে সহজেই আপনি খেতে পারেন। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। জেনে নিন সেগুলি কী।
চিনির বদলে অল্প মধু বা গুড় দিতে পারেন।
১। লেমোনেড
রোদ থেকে ফিরে লেমোনেড খেতে কার না ভাল লাগে। বানানোও সহজ। ঠান্ডা জলে লেবুর রস মিশিয়ে নিলেই হয়ে গেল। শুধু চিনির বদলে অল্প মধু বা গুড় দিতে পারেন। এই পানীয় আরও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে সঙ্গে এক টেবিল চামচ চিয়া বীজও মেশাতে পারেন।
এই চাগুলি অ্যান্টিঅক্সড্যান্টে ভরপুর হয়।
২। ভেষজ চা
গ্রিন টি, ওলোং টি, হোয়াইট টি-র মতো চা চিনি ছাড়া খেতে পারেন চা-প্রেমীরা। তা ছাড়াও অনায়াসে খেতে পারেন বিভিন্ন ভেষজ চা। আদা চা, পেপারমিন্ট টি, ক্যামোমাইল টি বা দারচিনির চায়ের মতো নানা ভেষজ চা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী। এতে ক্যালোরি খুব কম থাকে, বাড়তি চিনি না থাকায় রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং এই চাগুলি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর হয়।
৩। সব্জির রস
ফলের রসের বদলে সব্জির রস সহজেই খেতে পারেন ডায়াবেটিক রোগীরা। শসা-ব্রকোলির রস, বিটরুটে-গাজরের রস, পালংয়ের রস-জাতীয় বিভিন্ন সব্জি রস করে খেতে কোনও বাঁধা নেই ডায়াবেটিক রোগীদের।