ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাণঘাতী লক্ষণ কোনগুলি? ছবি: শাটারস্টক।
উপসর্গগুলি খুব চেনা। মাথাব্যথা, নাক দিয়ে জল ঝরা, কাশি এবং গায়ে হাতে ব্যথা। সাধারণ মানুষ ভাবেন, ঠান্ডা লেগেছে। আসলে এগুলি সবই ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের লক্ষণ। এই রকম সর্দি, কাশি তথা ইনফ্লুয়েঞ্জা কিন্তু মরসুমি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) হিসাব বলছে, প্রতি বছর ৬ লক্ষ ৫০ হাজার জনের মৃত্যু হয় মরসুমি ইনফ্লুয়েঞ্জায়। ঠিক এই কারণেই প্রয়োজন ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রতিষেধকের। শিশুদের ক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রাণঘাতী হতে পারে। রাজ্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর শিশুদের অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন ও ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেস নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করছে।
শিশুরা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হলে বাড়িতে কী ভাবে যত্ন নেবেন?
১) শিশুদের বেশি করে জল ও তরল খাবার খাওয়াতে হবে।
২) গুরুতর পেটের গোলমাল হলে ওআরএস দিন।
৩) জ্বরের জন্য প্রয়োজনে প্যারাসিটামল দিতে পারেন। তবে ওষুধের ডোজ় ১০-১৫ মিলিগ্রাম প্রতি কেজির (ওজন) বেশি না হয় সে বিষয় সতর্ক থাকুন। দিনে পাঁচ বারের বেশি ওষুধ নয়। চার ঘণ্টা অন্তর ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে।
৪) ওষুধে জ্বর না কমলে জল দিয়ে বারে বারে গা মোছাতে ও মাথা ধোয়াতে হবে।
৫) নাক বন্ধ হলে নুন জলের ফোঁটা ব্যবহার করতে পারেন।
৬) শিশুর জ্বরের মাত্রা, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার, খাওয়ার পরিমাণ ও প্রস্রাবের উপর নজর রাখুন।
৭) বাসক-তুলসী পাতার রস খাওয়াতে পারেন।
শিশুর মধ্যে কোন লক্ষণ দেখলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে?
১) পাঁচ দিনের বেশি জ্বর থাকলে বা ধুম জ্বর হলে
২) স্বাভাবিকের থেকে দ্রুত শ্বাস নিলে
৩) শ্বাস নেওয়ার সময় বুকের চামড়া ভিতরে ঢুকে গেলে, নাকের পাটা ফুলে গেলে
৪) শিশুর খাওয়ার পরিমাণ অর্ধেক হয়ে গেলে
৫) দিনে পাঁচ বারের কম প্রস্রাব হলে
৬) সারা ক্ষণ ঝিমুনি ভাব থাকলে, হঠাৎ খিঁচুনি হলে বা অজ্ঞান হয়ে গেলে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, শিশুদের প্রতি বছর ফ্লুয়ের প্রতিষেধক নেওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে যদি ফ্লু হয়ও, তা হলে তার প্রভাব খুব বেশি হবে না। সংক্রমিত মানুষের সংস্পর্শে এলেই ফ্লু হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই যাঁদের ফ্লু হয়েছে, তাঁদের কাছ থেকে শিশুদের দূরে রাখাই শ্রেয়। ফ্লু ঠেকানোর আরও একটি পথ, শিশুর ঘরটি পরিচ্ছন্ন রাখা।