প্রিয়াঙ্কার ঈর্ষণীয় চেহারার রহস্য কী?
২০০০ সালে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাসের মাথায় ওঠে বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব। তার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেত্রীকে। বলিউডে একের পর এক হিট ছবি দিয়ে এখন তিনি পাড়ি দিয়েছেন হলিউডে। ২০১৮ সালে আমেরিকার পপ গায়ক দশ বছরের ছোট নিক জোনাসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন প্রিয়ঙ্কা। আজ, সোমবার ১৮ জুলাই, তিনি পা দিয়েছেন ৪০-এ। তবে তাঁর ফিটনেস ও রূপ দেখে তা টের পাওয়ার জো নেই! তাঁর ঈর্ষণীয় চেহারার রহস্য জানতে মরিয়া অনুগামীরা।
শরীরচর্চার পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা কিন্তু তাঁর ডায়েট নিয়ে বেশ সচেতন। তবে সারা বছর তিনি নিজেকে কড়া ডায়েটের মধ্যে রাখতে পছন্দ করেন না। প্রিয়াঙ্কা বড়ই খাদ্যরসিক। উৎসব-অনুষ্ঠানের সময় তিনি কোনও রকম ডায়েটই মেনে চলেন না। তবে সারা বছর একটা ব্যালেন্স ডায়েট মেনে চলেন তিনি।
কী থাকে তাঁর রোজের ডায়েটে?
প্রাতরাশ: প্রিয়ঙ্কা খুব বেশি সকালে ঘুম থেকে উঠতে পছন্দ করেন না। ঘুম থেকে উঠে শরীরচর্চার করার আগে এক কাপ গরম কফিতে চুমুক দিয়েই তিনি দিনের শুরুটা করেন। ওয়ার্কআউট করার পর একটি অমলেট, অ্যাভাকাডো টোস্ট, ফলের রস দিয়েই তিনি প্রাতরাশ সারেন। তবে কখনও কখনও ইডলি, দোসা বা চিড়ের পোলাও থাকে তাঁর প্রাতরাশের তালিকায়।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার জোনাস।
দুপুরের খাবার: ইদানীং অভিনেত্রী মাছ-মাংস খেতে ততটাও পছন্দ করেন না। বিদেশে থাকলেও তিনি দুপুরের খাবারে ভারতীয় খাবার খেতেই পছন্দ করেন। আর দেশে ফিরলে রাগির রুটি, সঙ্গে ঢেঁড়শ, আলু-ফুলকপির সব্জি, ডাল থাকে তাঁর দুপুরের মেনুতে। সঙ্গে টক দই, স্যালাড ও আচার থাকা মাস্ট।
সন্ধের জলখাবার: সন্ধেবেলায় খুব হালকা খাবার খান অভিনেত্রী। মাখনা তাঁর সন্ধেবেলার জলখাবার পছন্দের খাবার। তবে দেশে ফিরলে চাট খেতেও তিনি পছন্দ করেন।
রাতের খাবার: প্রিয়ঙ্কা যেহেতু দিনের প্রথমার্ধে ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেয়ে নেন তাই রাতে ভারী কোনও খাবার তিনি খেতে পছন্দ করেন না। নৈশভোজের মেনুতে থাকে স্যুপ কিংবা স্যালাড।