ছবি : সংগৃহীত।
ইন্টারনেট জুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা— টম্যাটোয় নিকোটিন রয়েছে! সেই আলোচনার সূত্র ধরেই এ প্রশ্নও উঠেছে যে, যদি কেউ ধূমপান ছাড়তে চান, তবে কি তাঁকে টম্যাটো খাওয়াও ছাড়তে হবে? তা না হলে কি টম্যাটোয় থাকা নিকোটিন ধূমপানের ইচ্ছেকে উস্কে দিতে পারে! পুষ্টিবিদ এবং স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক ইশা লাল জানাচ্ছেন, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই যে টম্যাটোয় নিকোটিন রয়েছে। তবে টম্যাটোর মতোই আরও বহু সব্জিতে নিকোটিন রয়েছে। তা বলে কি সেই সব সব্জিও খাওয়াদাওয়ার তালিকা থেকে বাদ পড়বে?
ছবি: সংগৃহীত।
ঠিক কতটা নিকোটিন রয়েছে টম্যাটোয়?
টম্যাটো সোলানাসিয়া গোত্রের গাছ। ওই একই গোত্রের অন্যান্য গাছ, যেমন আলু, বেগুন, নানা রঙের ক্যাপসিকামেও নিকোটিনের উপস্থিতি থাকে বলে জানাচ্ছেন ইশা। তিনি বলছেন, ‘‘কিন্তু ওই সমস্ত সব্জিতে যে পরিমাণ নিকোটিন থাকে তা নামমাত্র।’’ ঠিক কতটা নিকোটিনের উপস্থিতি রয়েছে টম্যাটোয়? প্রশ্নের জবাবে ইশা জানিয়েছেনস ‘‘প্রতি ১০০ গ্রাম টম্যাটোয় নিকোটিনের পরিমাণ থাকে ০.০০০৮ মিলিগ্রাম। অর্থাৎ হিসাব মতো একটি সিগারেটে যে পরিমাণ নিকোটিন থাকে, তার ১০ হাজার ভাগের এক ভাগের সমান। ফলে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মেনে তাকে ‘নিকোটিনের উপস্থিতি’ রয়েছে বলা গেলেও তাতে স্বাস্থ্যের উপর কোনও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই।
ছবি: সংগৃহীত।
টম্যাটো কি ধূমপানের ইচ্ছে জাগাতে পারে?
বলা হয়, নিকোটিনের ধোঁয়াও ধূমপানের ইচ্ছে বাড়িয়ে তুলতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন ওঠে টম্যাটো খাওয়ার ফলে শরীরে নিকোটিন প্রবেশ করলেও কি তা ধূমপানের ইচ্ছে জাগাতে পারে? ইশা বলছেন, ‘‘ধূমপান করলে, সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছে যায় নিকোটিন, সরাসরি মেশে রক্তেও। যা নেশা ধরাতে পারে। কিন্তু টম্যাটোর মাধ্যমে যে নিকোটিন শরীরে প্রবেশ করছে, তা পাচন ক্রিয়ার মাধ্যমে রক্তে মেশে। তা-ও অতি অল্প পরিমাণে। তাই তা থেকে নেশা হওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’’