বাচ্চাদের ইনহেলার দিতে অনেকেই ভয় পান। ছবি: শাটারস্টক।
নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট, কাশি, বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই শব্দ, রাত্তিরে সমস্যা উত্তরোত্তর বেড়ে যাওয়া— এই হল সংক্ষেপে অ্যাজ়মা বা হাঁপানির মূল সমস্যা। আসলে ফুসফুসে অক্সিজ়েন নেওয়ার জন্য সরু সরু টিউবের মতো অজস্র নালি আছে। অ্যালার্জি এবং অন্যান্য কারণে সূক্ষ শ্বাসনালীগুলির মাংসপেশি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ঠিক মতো বায়ু চলাচল করতে পারে না। শরীর প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না। আর এর ফলে নিঃশ্বাসের কষ্ট-সহ নানা শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। মরসুম বদলের সময় হাঁপানির সমস্যা আরও বেড়ে যায়।হাঁপানি হলে ইনহেলার দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। বিশেষ ডিভাইসের সাহায্যে ইনহেলার দিলে দ্রুত রোগের উপশম হয়। অনেকে ইনহেলার ব্যবহার করতে কিন্তু কিন্তু বোধ করেন। বিশেষত বাচ্চাদের ইনহেলার দিতে অনেকেই ভয় পান। ইনহেলার ব্যবহারের সময় কিছু নিয়ম না মানলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
যন্ত্রটি ব্যবহার করার আগে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিতে ভুলবেন না যেন। ছবি: শাটারস্টক।
ইনহেলার ব্যবহারের সময় কোন ভুলগুলি করেন মানুষ?
১) প্রথমবার ইনহেলার ব্যবহারের সময় তাতে কোনও ময়লা জমা আছে কিনা তা দেখে নিতে ভুলবেন না যেন। ইনহেলার ব্যবহারের আগে তা পরিষ্কার আছে কিনা তা যাচাই না করে নিলে হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
২) ইনহেলার সরাসরি ব্যবহার করার আগে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিতে ভুলে যান অনেকে। এ ক্ষেত্রে ইনহেলার নিয়েও কাজ হয় না। তাই যন্ত্রটি ব্যবহার করার আগে ভাল করে ঝাঁকিয়ে নিতে ভুলবেন না যেন।
৩) ইনহেলার ব্যবহারের আগে গভীর শ্বাস নিতে হবে। নইলে সমস্যা হতে পারে। ইনহেলার নেওয়ার সময় শ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়া ভুল হলে মুশকিল। কতটা জোরে শ্বাস নেবেন, কত বার শ্বাস নেবেন সবটাই ভাল করে জেনে নেওয়া উচিত।
৪) স্টেরয়েড ইনহেলার ব্যবহারের পর জল দিয়ে মুখ কুলকুচি করতে ভুলবেন। না হলে মুখে ঘা হতে পারে।
৫) সুফল পেতে ইনহেলারের সঙ্গে স্পেসার (একটি যন্ত্র) ব্যবহার করুন। শুধু ইনহেলার ব্যবহার করার চেয়ে স্পেসারের মাধ্যমে ব্যবহার করলে ওষুধ ফুসফুসের ভেতর যায় প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণে। ফলে ওষুধের কার্যকারিতা অনেক বেশি হয়।