যখন ত্বক দেখেই যায় রোগ চেনা। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স ৩০ পেরোলেই কোলেস্টেরলের সমস্যা ভাঁজ ফেলে কপালে। রোজের নানা অনিয়ম, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস, শরীরচর্চায় অনীহা— কোলেস্টেরলের বাড়িয়ে দেয়। তাকে সঙ্গে করেই আসে শরীর ঘিরে নানা আশঙ্কা।
‘হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ (এইচডিএল) ও ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ (এলডিএল), মানুষের দেহে মূলত এই দু’ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। এর মধ্যে দ্বিতীয়টি খারাপ কোলেস্টেরল। খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলেই দেখা দিতে পারে সংবহনতন্ত্রের সমস্যা। বেড়ে যায় স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি। অধিকাংশ সময়ে কোলেস্টেরলের সমস্যা বেড়ে গেলে রক্তপরীক্ষা করানোর আগে তা বোঝা যায় না। তাই সময় থাকতে উপসর্গগুলি চিনে নেওয়া জরুরি।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে। এমন কথা কানে এলেই হাজার প্রশ্ন উড়ে আসে। কী খাওয়া বন্ধ করতে হবে, কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে মারণরোগ— আরও কত কী! কিন্তু কোলেস্টেরল যে মাত্রা ছাড়াচ্ছে, তা বোঝা যাবে কী ভাবে?
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লে ঝুঁকির সম্ভাবনা কম। গবেষকদের মতে, ত্বক সে কথা জানান দেয়। ইঙ্গিত বুঝে নেওয়ার উপায় জানা থাকলেই হল। ‘আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব ডার্মাটোলজি’র বক্তব্য এমনই। ত্বকে কী ধরনের পরিবর্তন দেখলে সাবধান হতে হবে? কখন কোলেস্টেরলের মাত্রা বোঝার জন্য স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে?
১. শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক সময়ে লালচে চাকা চাকা র্যাশ দেখা দেয় ত্বকে। এগুলি সাধারণ র্যাশের মতো নয়। কিছুটা হলদেটে ভাব থাকে এই র্যাশে।
ত্বকে কী ধরনের পরিবর্তন দেখলে সাবধান হতে হবে? ছবি: সংগৃহীত।
২. অনেক সময় আবার মোমের মতো ফোলা ভাব দেখা দেয় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে। হাত কিংবা গলায় এমন দাগ দেখে অনেকেই মনে করেন অ্যালার্জির সমস্যা। কিন্তু তা নয়। কাছে গেলেই বোঝা যায়, এর মধ্যে তেলতেলে ভাব আছে। এই উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হোন।
৩. চোখের চারপাশে হলদেটে কমলা ছোট ছোট মোমের মতো গুটলি দেখা যায়। দেখা যায় একটু ফোলা ফোলা ত্বক। এমন উপসর্গ দেখলেও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন আছে।
৪. অনেক সময় দেখা যায়, মুখের মধ্যে বা যৌনাঙ্গে ঘায়ের মতো উপসর্গ। মাঝেমধ্যেই এমনটা হলে সতর্ক হন। বুঝতে হবে, কোলেস্টেরল হানা দিতে পারে শরীরে।
৫. শরীরে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে রক্তসঞ্চালন ব্যাহত হয়। ফলে শরীরের কোষে কোষে রক্ত পৌঁছতে পারে না। এর ফলে চামড়ার রং গাঢ় হয়ে যায়। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এমনটা হলেও সতর্ক হোন।