অ্যালঝাইমার্স থেকে দূরে রাখুন প্রিয়জনকে। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লে শরীরের কলকব্জার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুর্বল হতে থাকে স্মৃতিও। অনেক সাধারণ বিষয়ও বেমালুম ভুলে যান অনেকে। মনে রাখতে পারেন না। তা নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রুপের শেষ থাকে না। আপাত ভাবে এই সমস্যা তুচ্ছ মনে হলেও ভুলে যাওয়ার সমস্যা সব সময়ে মজার বিষয় না-ও হতে পারে। বেশির ভাগ সময়েই স্মৃতিভ্রংশের সমস্যার সূচনা হয় এ ভাবেই। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলে অ্যালঝাইমার্স। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, গোটা বিশ্বে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সাড়ে পাঁচ কোটিরও বেশি। স্মৃতিশক্তির সমস্যা সাধারণত অ্যালঝাইমার্স রোগের প্রাথমিক উপসর্গ।
শুরুর দিকে অ্যালঝাইমার্স রোগে আক্রান্তরা সদ্য ঘটা কথোপকথন কিংবা ঘটনাগুলি ভুলে যেতে পারেন। জিনিসপত্র ভুল জায়গায় রাখা, স্থান এবং বস্তুর নাম ভুলে যাওয়া, সঠিক শব্দটি ভাবতে সমস্যা হওয়া এবং বার বার একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে থাকা— কোনও ব্যক্তির এই উপসর্গগুলি দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। এ ছাড়াও, অ্যালঝাইমার্সের আরও বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে। সেগুলি জেনে রাখা জরুরি। তা হলে প্রাথমিক অবস্থাতেই রোগ নির্ণয় করা সহজ হবে।
মেজাজ পরিবর্তন
ঘন ঘন মনের অবস্থার বদল হয়। অ্যালঝাইমার্সের অন্যতম একটি উপসর্গ এটি। বিভিন্ন কারণে এমন হতে পারে। শারীরিক কোনও সমস্যা থেকেও মেজাজ বিগড়ে যায়। তবে সেটা যদি খুব বেশি বার হয়, তা হলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি।
কাজ সম্পূর্ণ করতে না পারা
মাঝপথ থেকে কোনও কাজ ফেলে উঠে যাওয়ার প্রবণতা অ্যালঝাইমার্সের উপসর্গ। রান্না হোক কিংবা বাজারের ফর্দ করা— কোনও কাজ শেষ না করে হঠাৎ উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন? তা হলে অতি অবশ্যই এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
এক কথা বার বার বলা
একই বিষয় নিয়ে বার বার করে বলে যাওয়ার অভ্যাসও কিন্তু অ্যালঝাইমার্সের উপসর্গ হতে পারে। কারণ, এই রোগে মনের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না সব সময়ে। কিছু ক্ষণ আগে বলা কথা পরমুহূর্তে ভুলে যাওয়া এবং পুনরায় বলার প্রবণতা তৈরি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।