হেঁটে ঘাম ঝরাচ্ছেন, সঙ্গে কী কী রাখলে সুবিধা হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
সকালেই উঠেই হাঁটতে যাচ্ছেন। ঘাম ঝরাচ্ছেন। জোরে-আস্তে হেঁটে দ্রুত ক্যালোরি খরচের চেষ্টাও করছেন। কিন্তু, কতটা কাজ হচ্ছে জানেন কি? না জানলে বুঝবেন কী করে, আর কত ক্যালোরি সারা দিনে খেতে হবে?
১৫ মিনিট হেঁটে ঠিক কতটা ক্যালোরি ঝরল, তা যদি তৎক্ষণাৎ বুঝতে পারেন, সেই মতো হাঁটার গতি, সময় কমিয়ে বা বাড়িয়ে নিতে পারবেন। হাঁটার সময় তাই সঙ্গে রাখতে পারেন, কয়েকটি জিনিস।
স্মার্টওয়াচ
কত পা হাঁটলেন, কত দূর হাঁটলেন, সেই সময় হৃদ্স্পন্দনের হার কেমন, তার সবটাই জানান দেয় স্মার্টওয়াচ। হাতে পরে থাকলেই শরীরের গতিবিধির তথ্য ফুটে ওঠে স্মার্ট ওয়াচের স্ক্রিনে। মোবাইলের সঙ্গে ব্লু টুথের সাহায্যে সংযুক্ত থাকে স্মার্টওয়াচের বিশেষ অ্যাপ। শুধু হাঁটাহাটি নয়, বিভিন্ন শারীরিক কসরতের সময়েও কতটা ক্যালোরি খরচ হচ্ছে, দেখা যায় এতে। ঘড়িতে এই তথ্যগুলি দেখা গেলে আর কত ক্ষণ হাঁটতে হবে, বুঝতে সুবিধা হয়।
ওয়্যারেবল রিস্ট অ্যান্ড অ্যাঙ্কল ওয়েট
হাঁটা বা দৌড়নোর সময় শরীরচর্চার তীব্রতা বাড়াতে অনেকে এগুলি ব্যবহার করেন। এগুলি দেখতে অনেকটা ব্যান্ডের মতো। হাতের জন্য পাওয়া যায় এবং পায়ের জন্যেও পাওয়া যায়। এগুলি ওজনদার হয়। এগুলি পেশি সুগঠিত করতে সাহায্য করে। সৌদি আরবের তালিবাহ্ ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সায়েন্সের ২০১৬ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র বলছে, দৈনন্দিন কাজের সময়েও ২০ মিনিট এগুলি পরে থাকলে পেশি সুগঠিত হয়। তবে একদম কম ওজন নিয়ে এগুলি শুরু করা দরকার। পাশাপাশি, ব্যবহারের আগে কতটা ওজন কী ভাবে নিতে হবে, এই বিষয়ে শরীরচর্চার প্রশিক্ষক বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
জুতো
হাঁটতে বা দৌড়তে গেলে সঠিক জুতো পরা প্রয়োজন। হাঁটার জন্য নির্দিষ্ট জুতোর দরকার হয়। 'জার্নাল অফ ফুট অ্যান্ড অ্যাঙ্কল রিসার্চ'-এ প্রকাশিত গবেষণা জানাচ্ছে, হাঁটার জন্য জুতোতে ভাল ‘কুশনিং’ থাকলে চট করে অস্থিসন্ধিতে চোট লাগে না বা ব্যথা হয় না। জোরে হাঁটার সময় যে ঝাঁকুনি হয়, তার ফলে যাতে পায়ের ক্ষতি না হয় বা আঘাত না লাগে, সে জন্য জুতোয় ‘কুশনিং’ থাকে। এই অংশে পায়ের ভর পড়ে।
রানিং বেল্ট
হাঁটার সময়ও জরুরি জিনিস সঙ্গে থাকে। মোবাইল, ওয়ালেট-সহ থাকতে পারে আরও কিছু। সেগুলি রাখার জন্যই দরকার হয় রানিং বেল্ট। জোরে হাঁটলে শরীরে ঝাঁকুনি হয়। সেই সময়ও জরুরি জিনিস যাতে পড়ে না যায়, সে জন্য রানিং বেল্টে বিশেষ পকেট থাকে।
জলের বোতল
দীর্ঘ ক্ষণ জোরে হাঁটাহাটি করলে জল খাওয়ার দরকার হতেই পারে। সে জন্য সঙ্গে লিক প্রুফ বোতল রাখাটা সুবিধাজনক। প্রবল ঘামের পর তেষ্টার সময় জল না থাকলে সমস্যা হতে পারে। তা ছাড়া হাঁটহাটির মাঝে অল্প করে জল খেলে শরীরের তাপমাত্রা, মাংসপেশির কার্যক্ষমতা ঠিক থাকে।