রোজ কোন কোন খাবার খেলে আয়রনের ঘাটতি হবেই না? ছবি: ফ্রিপিক।
পিরিয়ড, প্রেগন্যান্সির সময় অনেকেই রক্তাল্পতার কারণে দুর্বল হয়ে পড়েন। যা ডেকে আনে নানা শারীরিক সমস্যা। সমীক্ষা বলছে, বিশ্বে অধিকাংশ মেয়েরাই হিমোগ্লোবিনের অভাবে রক্তাল্পতায় ভোগেন। খাদ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন দূর করতে পারে রক্তাল্পতার সমস্যা। রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়াতে রোজ ডায়েটে আয়রন সমৃদ্ধ খাবারই রাখতে হবে।
পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর কথায়, সুষম খাবার খেলে আয়রনের অভাব হওয়ার কথা হয়। ডাল, খেজুর, সবুজ শাকসব্জিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখবেন যে,আয়রন খাওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন সি-এর জোগানও অব্যাহত রাখতে হবে আপনাকে। তবেই আয়রনের শোষণ সম্ভব হবে।
কী কী খাবেন রোজ?
মোচা, পালং শাক, টোফু, বিন্স ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের মাংসে আয়রন থাকে। খেজুর, কিসমিস, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, তিল খেল আয়রনের ঘাটতি দূর হবে। এ ছাড়া, সজনে গাছের পাতাতেও প্রচুর আয়রন থাকে।
এক কাপ ছোলায় রয়েছে তিন থেকে পাঁচ মিলিগ্রাম আয়রন। সিদ্ধ ডালের জল রোজ খেলে উপকার পাবেন।
সোয়াবিন শুধু আয়রনেরই উৎস নয়, এতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সেলেনিয়ামও রয়েছে। নিয়মিত সোয়াবিন খেলে হার্টের অসুখ, ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। ভাল থাকে হাড়ের স্বাস্থ্যও।
বেদানাতে আয়রনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তবে আয়রন শোষণে এই ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি-এর গুরুত্বও কম নয়। এ ছাড়াও বেদানাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং বিভিন্ন খনিজ। যা রক্তে হিমোগ্লোবিন বা লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে অনুঘটকের কাজ করে।
রোজ খাবার পাতে স্যালাড হিসাবে বিট-গাজর রাখা যেতেই পারে। না হলে এই দু’টি সব্জিকে একসঙ্গে ব্লেন্ডারে মিশিয়ে ছেঁকে নিয়ে শুধু রসও খেতে পারেন। এই রসে মিশিয়ে নিতে পারেন লেবুর রস।
প্রাণীজ প্রোটিনের মধ্যে ডিম, মাছ, মুরগির মাংস, মেটে থেকে আয়রন পাবেন। চর্বিযুক্ত মাংস কম খাওয়াই উচিত। একটি ডিমে ১ মিলিগ্রাম মতো আয়রন থাকে। তা ছাড়া ডিম সহজলভ্য। চাইলেই রোজ একটি করে ডিম খেতে পারেন।