ভিটামিন ই কেন দরকার ছবি: সংগৃহীত
শারীরিক দুর্বলতার অন্যতম প্রধান কারণ পেশির দুর্বলতা, বিশেষ করে বেশি বয়সে পেশির দুর্বলতা দেখা দিলে পড়ে গিয়ে আঘাত লাগার আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পেশির দুর্বলতা দূর করতে মোক্ষম হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে ভিটামিন ই।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
ভিটামিন ই প্রদাহনাশক হিসেবে অত্যন্ত কার্যকর। পাশাপাশি এই ভিটামিনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণাবলীও রয়েছে। দূষণের কারণে দেহে জারণ ঘটিত চাপ সৃষ্টি হয়। কোষে জারণ ঘটিত চাপ বৃদ্ধি পেলে তা যেমন কোষের ক্ষতি করে তেমনই বাড়িয়ে দেয় ত্বক ও চুলের সমস্যা। বেড়ে যেতে পারে ক্যানসারের ঝুঁকিও। এই চাপ কমাতে কাজে আসে ভিটামিন ই। পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট পেশির টান কমাতেও সহায়তা করে। দেহে ভিটামিন ই কম থাকলে ‘ফ্যাট’ শোষণে সমস্যা হয়। দেখা দিতে পারে হজমের সমস্যাও। শারীরিক দুর্বলতা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
আইসিএমআর বলছে, একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রতি দিন ৭.৫ মিলিগ্রাম থেকে ১০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই প্রয়োজন। তবে বয়স ভেদে বদলে যায় এই ভিটামিনের চাহিদা। পাশাপাশি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ও স্তন্যদায়িনী মায়েদের ক্ষেত্রেও এই চাহিদার কিছুটা হেরফের হয়। কিন্তু কোন কোন খাবারে পাওয়া যায় ভিটামিন ই? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন দানা শস্য, কাঠবাদাম, সূর্যমুখী বীজ, আম ও কিউয়ি ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ই রয়েছে। আমিষ খাবারের মধ্যে স্যামন মাছ, লবস্টার, হাঁসের মাংস ও বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছে মেলে ভিটামিন ই।