শাকসব্জি, ফলেও রয়েছে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জাদু উপাদান। ছবি: সংগৃহীত
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার অন্যতম উপায় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস। সঙ্গে শরীরচর্চা, হাঁটাচলা, জিমে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম তো আছেই। বাড়তি মেদ ঝরাতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। তবে স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই কিন্তু সব সময় আমিষ খাবার নয়। শাকসব্জি, ফলেও রয়েছে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জাদু উপাদান। রোগা হওয়ার ঝক্কি অনেক। একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। অনেকেই অধৈর্য্য হয়ে প়ড়েন। এই সময় মানসিক ভাবে স্থির থাকাটা জরুরি। তাই এই পর্বের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু খাবার রাখা প্রয়োজন যা ওজন কমানোর পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখবে।
পালং শাক
শরীরের যত্ন নেওয়া ছাড়াও বাড়তি ওজন কমাতেও দারুণ সাহায্য করে পালং শাক। এক কাপ পালং শাকে রয়েছে প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন। এ ছাড়াও পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, কে, আয়রন, ফোলেট, পটাশিয়াম। পালং শাক ফাইবারের অন্যতম উৎস। বিপাক ক্রিয়ার ভাল মন্দের উপর নির্ভর করে ওজন। পালং শাক বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি ঘটিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই কিন্তু সব সময় আমিষ খাবার নয়। ছবি: সংগৃহীত
কাঠবাদাম
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভেজানো কাঠবাদামের জুড়ি মেলা ভার। আধ কাপ কাঠবাদামে প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ৭ গ্রাম। অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ কাঠবাদাম ওজন কমানোর পাশাপাশি মানসিক উদ্বেগের সমস্যাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বিভিন্ন প্রকার ডাল
ডালের মতো উপকারী খাবার খুব কমই আছে। মুগ ডাল, মুসুর ডাল, মটর ডাল, ছোলার ডাল— সব প্রকার ডালেই রয়েছে ভরপুর পুষ্টিগুণ। এক কাপ রান্না করা ডালে রয়েছে প্রায় ৮.৮৪ গ্রাম প্রোটিন। মাছ, মাংস, ডিমের অন্যতম বিকল্প হল ডাল। তাই ওজন কমানোর এই প্রক্রিয়ায় খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ডাল রাখা জরুরি।
ছোলা
নিরামিষ খান, অথচ ওজন কমাতে চাইছেন এমন মানুষেরা অনায়াসে ভরসা রাখতে পারেন ছোলায়। শরীরে ভিতর থেকে শক্তি জোগায় ছোলা। ছোলায় রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। পটাশিয়াম, ফাইবার, ফোলেট , ফসফরাস সমৃদ্ধ ছোলা ওজন কমানোর অন্যতম একটি খাবার। খিদে পেলে বাইরের ভাজাভুজি না খেয়ে বাড়িতেই বানাতে পারেন মুখরোচক ছোলার চাট।