ছবি: সংগৃহীত
কোভিডের প্রকোপ খানিক কম। তাই বাড়ি থেকে কাজের পালাও শেষ। নিয়মিত অফিস যেতে হচ্ছে। এ দিকে পাল্লা দিয়ে চড়ছে তাপমাত্রার পারদও। মাথার উপর চড়া রোদ। বাড়ছে অস্বস্তি। এই মরসুমে শরীর সুস্থ রাখতে খাওয়াদাওয়ার প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কাজের চাপও কম নয়। অনেক ক্ষণ কাজ করতে করতে খিদে পেলেই বাইরে থেকে খাবার আনিয়ে নেন অনেকে। তবে বৈশাখের এই গরমে বাইরের খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। কাজের ফাঁকে খিদে মেটাতে স্বাস্থ্যকর, অথচ চটজলদি কী খাওয়া যেতে পারে?
স্মুদি
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে বেছে নিতে পারেন বিভিন্ন গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি স্মুদি। গরমে তরমুজ, আম, শশার মতো বিভিন্ন জল জাতীয় ফল পাওয়া যায়। তা দিয়ে অনায়াসে বানিয়ে ফেলতে পারেন একটি স্বাস্থ্যকর স্মুদি। পানীয়টি সুস্বাদু করে তুলতে মেশাতে পারেন ডাবের জল, কাঠবাদাম।
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে বেছে নিতে পারেন বিভিন্ন গ্রীষ্মকালীন ফল দিয়ে তৈরি স্মুদি। ছবি: সংগৃহীত
ছোলার চাট
শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী ছোলা। হজম শক্তিবাড়ানো থেকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা— ছোলায় রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণ। তাই হঠাৎ খিদে মেটাতে খেতে পারেন ছোলা দিয়ে বানানো চাট। শশা, পেঁয়াজ, টমেটো, বিটনুন আর সেদ্ধ ছোলা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন এই সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার।
ড্রাই ফ্রুটস
অফিসের ব্যাগে বা ড্রয়ারে রেখে দিন ড্রাই ফ্রুটসের কৌটো। কাঠবাদাম, পেস্তা, কাজু, কিশমিশ সারা বছরই শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কাজের ফাঁকে মুখ চালাতে এই গরমে ভাজাভুজির বদলে বেছে নিতে পারেন এই ধরনের শুকনো কিছু খাবার।
শুকনো মিষ্টি
মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তবে স্বাস্থ্যকর মিষ্টি হলে সমস্যা নেই। খিদের মুখে মিষ্টির স্বাদ নিতে খেতে পারেন আপেল ক্ষীর। নারকেল দুধ আর অল্প গুড় দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন এই ক্ষীর। রাগি দিয়ে তৈরি স্বাস্থ্যকর লাড্ডুও খেতে পারেন।