অলিভ অয়েলের উপকারিতা বহুমুখী। ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে খাওয়াদাওয়ায় বদল এনেছেন অনেকেই। ফলে হেঁশেলে তাই সর্ষে অথবা সোয়াবিন তেলের বদলে জায়গা করে নিয়েছে অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েলের রয়েছে বহুমুখী উপকারিতা। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ একেবারে কম। ফলে ওজন এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই তেল গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের বয়স ধরে রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার। অলিভ অয়েল ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। তবে অলিভ অয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখা জরুরি। সব ধরনের অলিভ অয়েল কিন্তু এক নয়। অলিভ অয়েলের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। গুণের দিক থেকেও সব ধরনের তেল একই রকম নয়। কত রকমের অলিভ অয়েল আছে? উপকারিতায় একে অপরের থেকে কতটা আলাদা সেগুলি?
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল
এই ধরনের তেল নিঃসরণে কোনও যন্ত্রের প্রয়োজন পড়ে না। এমনকি কোনও তাপ কিংবা রাসায়নিকের ব্যবহারও হয় না। এই তেলের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ‘ফিল্টারিং’ পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়। এক্সট্রা ভার্জিন অয়েলে অ্যাসিডের মাত্রা থাকে ০.৮ শতাংশ। এ ছাড়া এতে কোনও ধরনের বাড়তি গন্ধ ও স্বাদ ব্যবহার করা হয় না। এই কারণে পুষ্টিবিদেরা সব সময় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ভার্জিন অলিভ অয়েল
এক্সট্রা ভার্জিনের চেয়ে এই তেলে অ্যাসিডের মাত্রা কিছুটা বেশি। তা ছাড়া এক্সট্রা ভার্জিন অয়েলের থেকে ভার্জিন অলিভ অয়েলের স্বাদেও অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবে অনেকেই এই তেলই খান।
রিফাইন্ড অলিভ অয়েল
রিফাইন্ড অলিভ অয়েল কিছুটা হালকা হয়। এবং অন্য ঘরানার অলিভ অয়েলের চেয়ে কম আঠালো। অনেক সময় এই তেলের সঙ্গে ভার্জিন অলিভ অয়েলও মেশানো হয়। অন্য অলিভ অয়েলের মতো এর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রা একই হলেও এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ কম।
আনফিল্টার্ড অলিভ অয়েল
নাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে, এই তেল ঠিক মতো পরিশোধন করা হয় না। ফলে জলপাইয়ের অংশবিশেষ এতে থেকে যায়। এতে অলিভ অয়েল সুস্বাদু হয়ে ওঠে ঠিকই, তবে দীর্ঘ দিন রেখে দিলে তেলের নীচে এই অংশ জমে যায়। এই জন্য এই প্রকার অলিভ অয়েল বেশি দিন ধরে ব্যবহার করা যায় না।