পেটের গোলমাল দাওয়াই কি গুড় আর ঘি? ছবি: সংগৃহীত।
শীতকাল বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। ফলে নানাবিধ সমস্যা লেগেই থাকে। সর্দি-কাশি, জ্বর তো আছেই, সেই সঙ্গে পেট ভার হওয়া, হজমের গোলমালও দেখা দেয়। শীতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে অনেকেই ভরসা রাখেন নানা ভেষজ পানীয় কিংবা ওষুধে। তবে এগুলি ছাড়াও শীতে এ ধরনের সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া টোটকাও কার্যকরী হতে পারে। মূলত ভারী খাবার খাওয়ার পরেই এই ধরনের পেটের গোলমাল দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে গুড়ের সঙ্গে ঘি খেলে উপকার পাবেন।
হজমের উন্নতি হয়
ঘিয়ের সঙ্গে গু়ড় মিশিয়ে খেলে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। এই দুইয়ের গুণে এনজাইম ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। ফলে হজম হয় দ্রুত। হজম ঠিকঠাক হলে গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি অনেক কমে। খাবার খাওয়ার পর এক চামচ পরিমাণে ঘি আর গুড়ের মিশ্রণ খেলে উপকার পাবেন। অনেক সময় একসঙ্গে অনেক খাবার খেয়ে নেওয়ার জন্য পেট আইঢাই করে। সেই সময় এই টোটকা কাজে আসবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ঠেকাতে
কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে এই টোটকার উপর ভরসা রাখতে পারেন চোখ বন্ধ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য ছা়ড়াও পেটের অন্য অনেক গোলমাল কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। গুড়ে ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ থাকায় হজমের সমস্যায় কাজে আসে এই মিশ্রণ। ঘিয়ে রয়েছে ল্যাক্সেটিভ উপাদান। পেটের অস্বস্তি দূর করতে কার্যকরী এই উপাদান।
পেট ঠান্ডা রাখতে গুড় আর ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার। ছবি: সংগৃহীত।
পেট ঠান্ডা রাখে
পেট ঠান্ডা রাখতেও গুড় আর ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার। অনেক সময় পেট গরম হয়ে যাওয়ার ফলেও নানা সমস্যা দেখা দেয়। পেট ঠান্ডা রাখতেও খেতে পারেন এই টোটকা। উপকার পাবেন। ঘি আদতে পেট গরম করে বলে মনে হলেও, তা ঠিক নয়। আর পেট ঠান্ডা রাখতে গুড়ের বিকল্প নেই।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে
শীতকালে নানা রোগবালাই লেগে থাকে। রোগের সঙ্গে লড়াই করতে ভরসা হতে পারে এই টোটকা। ঘিয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ভিটামিন এ, ই ও ডি। গুড় হল আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। শীতে সুস্থ থাকতে এই উপাদানগুলির সব ক’টিই শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা জরুরি।