ভিটামিনের ঘাটতিই বিভিন্ন অসুস্থতার কারণ হয়ে ওঠে। ছবি: সংগৃহীত
শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, ফাইবার পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজন। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো থেকে হাড়ের যত্ন নেওয়া, হরমোনের ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করা থেকে সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখা— পুষ্টিকর উপাদানের বিকল্প নেই।
আমেরিকার ‘ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস’-এর তথ্য অনুসারে, শরীরে ভিটামিন, খনিজ পদার্থের মতো পুষ্টিকর উপাদানগুলির অভাব ঘটলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়। সুষম খাবারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শরীরে প্রবেশ করে। কারও ক্ষেত্রে পুষ্টির ঘাটতি পড়লে আলাদা করে প্রয়োজন পড়ে পরিপুরকের। পুষ্টিবিদরা বলছেন, শরীর সুস্থ রাখতে মোট ১৩টি ভিটামিনের প্রয়োজন আছে। বিভিন্ন ভিটামিনের কার্যকারিতা ভিন্ন। এই ভিটামিনের ঘাটতিই বিভিন্ন অসুস্থতার কারণ হয়ে ওঠে।
সাধারণ ভাবে ভিটামিনের ঘাটতি হলে ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, অস্থিরতা, হাড়ের ঘনত্ব হ্রাসের মতো কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন উপসর্গের মাধ্যমে ভিটামিনের ঘাটতি প্রকাশ পেতে থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিটামিন এ ও বি১২-এর ঘাটতি প্রভাবিত করতে পারে দৃষ্টিশক্তিকে। ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ (হু)-এর মতে, বিশেষ করে ভিটামিন এ পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে কর্নিয়াকে শুষ্ক করে তোলে। ঝুঁকি বাড়ায় অন্ধত্বের। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে এই ঝুঁকি দ্বিগুণ হয়ে যায়।
সারা বিশ্বে প্রায় প্রতি বছর ২৫ লক্ষ শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ভিটামিন এ-র অভাবে ভুগে থাকে। একই ভাবে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতিও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের কারণ হয়ে ওঠে।
‘হু’-এর মত অনুযায়ী, ভিটামিন এ-র অভাবে মূলত রাতকানা রোগ হয়ে থাকে। এ ছাড়াও, ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ, র্যাশের মতো সমস্যা দেখা যায়।
অন্য দিকে, ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি দেখা দিলে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ত্বক হলুদ হয়ে যাওয়া, মুখের আলসার, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার মতো লক্ষণও দেখা দেয়।
ভিটামিন এ-র ঘাটতি পূরণ করতে পনির, ডিম, তৈলাক্ত মাছ, পালং শাক, গাজর, মিষ্টি আলু, দুধের মতো ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান।
ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি মেটাতে রোজের পাতে রাখুন সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার।