ইউরিক অ্যাসিড হাঁটু এবং বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে জমা হয়। ছবি: সংগৃহীত
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং অত্যধিক প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। অধিকাংশ চিকিৎসকদের মতে, যাঁরা নিয়মিত মাছ-মাংস খেয়ে থাকেন, তাঁদের ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার ঝুঁকি বেশি। অত্যধিক মদ্যপানও ইউরিক অ্যাসিডের কারণ হতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড হাঁটু এবং বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে জমা হয়। এর ফলে হাঁটু ফুলে যায়। হাঁটতেও সমস্যা হয়। দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। এই সব সমস্যা কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, প্রতি ৩০ মিনিট বসার পর অন্তত ৩ মিনিট করে দাঁড়াতে। হাঁটাহাঁটি করলে আরও ভাল।
ইউরিক অ্যাসিড হলে মুসুর ডাল, মটর ডাল, পাঁঠার মাংস, মেটে, সামুদ্রিক মাছ, অ্যালকোহল বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার বারণ থাকে। নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভরসা রাখতে পারেন হেঁশেলের একটি মশলাতেও। রান্নার একটি অপরিহার্য উপাদান হল হলুদ। রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি, ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণেও অত্যন্ত কার্যকর। প্রদাহ কমানোর উপাদান সমৃদ্ধ হলুদ ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। ইউরিক অ্যাসিড যেহেতু হাঁটুতে বেশি প্রভাব ফেলে, হাঁটুর ব্যথা কমাতে লাগাতে পারেন হলুদের মিশ্রণ। ইউরিক অ্যাসিড থাকলে রোজ সকালে খাওয়া যেতে পারে কাঁচা হলুদও।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।