ভাইরাল জ্বরের ঘরোয়া দাওয়াই। ছবি:সংগৃহীত।
মরসুম বদলে সাধারণ সর্দি-কাশি, জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। জ্বরের মধ্যে মুখে স্বাদ আনতে খুদেকে একটু তেলমশলা দেওয়া খাবার রেঁধে দিয়েছেন কি অমনি পেটখারাপ। দু’দিন অন্তর ডাক্তারঘর করতে করতে হাঁপিয়ে ওঠেন বাবা-মায়েরা। ডাক্তার না হয় দেখালেন, কিন্তু ওষুধ খাওয়াতে নাজেহাল অবস্থা হয়। চড়া ডোজ়ের ওষুধ খেয়ে বেসামাল হয়ে পড়ে খুদেরা। তার পর গলা দিয়ে শক্ত শক্ত ট্যাবলেট, ক্যাপসুল খেতে গিয়ে বমি করে একাকার অবস্থা হয়। তবে অনেকেই বলেন, সাধারণ জ্বর, পেটখারাপ সামাল দিতে কিন্তু সব সময়ে ওষুধের প্রয়োজন পড়ে না। হেঁশেলেই এমন কিছু উপকরণ থাকে, যা প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে এই ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করতে পারে। একেবারে সদ্যোজাত না হলে, চিবিয়ে খাবার খেতে পারার বয়স হলেই সে সব ঘরোয়া টোটকা তাদের দেওয়া যায়।
১) জ্বর
রিক্সা চেপে বাড়ি আসার সময়ে শিশুর গায়ে বৃষ্টির ছাট লেগেছে। তার থেকেই হঠাৎ একটু গা গরম লাগছে। চট করে জ্বরের ওষুধ না খাইয়ে বানিয়ে নিন দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার পাঁচন। একটি পাত্রে জল গরম করুন। এর মধ্যে দিয়ে দিন গোটা ধনে, কয়েক টুকরো আদা, বেশ খানিকটা দারচিনি। এ বার মিনিট দশেক ফুটতে দিন। জল ফুটে কমে এলে চায়ের মতো খেতে দিন শিশুকে। কিছু ক্ষণ পরেই ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যাবে। প্রয়োজনে ঘণ্টা তিনেক বাদে আবার খাওয়াতে পারেন এই পানীয়।
২) কাশি
দমফাটা কাশিতে খুদে ঘুমোতে পারছে না। কাশির সিরাপ খেয়েও কাজ হচ্ছে না? আধ চা চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো এবং ১ চা চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে শিশুকে চেটে চেটে খেতে দিন। এই মিশ্রণ খাওয়ার পর উষ্ণ গরম জল খেলে আরও উপকার মিলবে। কাশির দাপট কমাতে দিনে ৩ থেকে ৪ বার খাওয়াতে পারেন এই মিশ্রণ।
৩) পেট খারাপ
গোটা একটি আপেল সেদ্ধ করে নিন। এর মধ্যে দিয়ে দিন এক চিমটে ছোট এলাচ এবং এক কুচি আদা। কড়াইতে আধ চা চামচ ঘি দিয়ে সেদ্ধ আপেলটি ভাল করে নাড়াচাড়া করুন। একটু ঠান্ডা হলে শিশুকে খেতে দিন এই টোটকা।