ইউরিনাল ট্র্যাক্ট ইনফেকশন ছেলেদেরও হতে পারে। ছবি: শাটারস্টক।
অসাবধানতা ও অসতর্কতার কারণে যে সব কঠিন অসুখ শরীরে বাঁধে, তার মধ্যে অন্যতম মূত্রনালির সংক্রমণ। সাধারণত রেচনতন্ত্রের কোনও অংশে জীবাণুঘটিত সংক্রমণ হলে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায়, তাকেই ‘ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন’ বা ইউটিআই বলে। কিডনি, মূত্রনালি, মূত্রথলিতে এই ধরনের সংক্রমণ হতে পারে।
অনেকেই মনে করেন, এই রোগ বুঝি মহিলাদেরই হয়। চিকিৎসকদের মতে, ইউরিনাল ট্র্যাক্ট ইনফেকশন মেয়েদেরই বেশি হয়, এমনটা নয়। ইদানীং অসতর্কতার জন্য এই ধরনের অসুখে পুরুষরাও সংক্রমিত হন প্রায় পাল্লা দিয়ে। তবে এই সংক্রমণের শুরুতেই সাবধান হলে বিড়ম্বনা অনেকটাই কমে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই অসুখ নিয়ে আমরা সচেতন থাকি না বলে জটিলতা বাড়ে।
অসুখের হানা ঠেকাতে তাই জেনে নিতে হবে এমন অসুখের কোন লক্ষণগুলি দেখলেই সচেতন থাকতে হবে। কোন কোন উপসর্গ দেখলেই সতর্ক হবেন?
১) প্রস্রাবে জ্বালা।
২) বার বার মূত্রের বেগ আসা অথচ পরিমাণে ততটা মূত্র না হওয়া।
৩) প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হয়, প্রস্রাব ঘোলাটে বা লালচে হতে পারে। এ ছাড়া সামগ্রিক ভাবে দুর্বল লাগে।
৪) কোমরে ও পেটে তীব্র ব্যথা।
৫) কারও কারও ক্ষেত্রে এই ইনফেকশনের কারণে তীব্র জ্বর আসতে পারে, সঙ্গে মাথা ঘোরাও থাকে।
৬) অনেকের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সময় রক্তপাতও হতে পারে।
প্রতীকী ছবি।
সঠিক সময় চিকিৎসা না হলে এই রোগের কারণে কিডনির উপর চাপ পড়ে। পরবর্তীকালে জটিল সমস্যার ঝুঁকি থাকে। অনেকেই আছেন, যাঁরা ইউটিআই-তে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজেরাই বাজারচলতি কিছু ওষুধ ও জেল ব্যবহার করতে শুরু করেন। চিকিৎসকের মতে, এই প্রবণতা অত্যন্ত খারাপ। বরং এতে সংক্রমণ না কমে অনেক সময় শরীরে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। ওষুধ বন্ধ করার কিছু দিন পর থেকে আরও প্রবল আকারে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তখন এর রূপ হয় আরও ভয়াবহ। তাই প্রথম থেকেই এই অসুখের সময় সচেতন হতে হবে।