রোগ-জীবাণুকে বশে রাখতে কী কী করবেন? ছবি- সংগৃহীত
বড়দিনের পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন অঞ্চলে হঠাৎ তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও ঠান্ডার দাপটে কাঁপছে গোটা উত্তর ভারত। পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ জুড়ে বইছে শৈত্য প্রবাহ। কুয়াশার ঘন চাদরে ঢাকা পড়েছে রাজধানীও। বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন এবং বিমান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন বাড়ির বয়স্ক এবং শিশুরা। তার উপর এখন আবার নতুন করে করোনাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাই ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশি লেগেই আছে। ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা রকম উপায় অবলম্বন করে থাকেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু গরম পোশাক পরে লেপ-কম্বলের তলায় গা ঢাকা দিয়ে থাকলে হবে না। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি করতে হবে শারীরিক কসরতও।
এ ছাড়া, রোগ-জীবাণুর প্রকোপ থেকে বাঁচতে আর কী কী বিষয় মাথায় রাখতে হবে?
পর্যাপ্ত জল খান
ঠান্ডা পড়া মাত্রই জল খাওয়া কমিয়ে ফেলেছেন? এই মরসুমে শরীরকে আর্দ্র রাখা বিশেষ ভাবে জরুরি। প্রতি দিন অন্তত পক্ষে ২ থেকে ৩ লিটার জল খেতে পারলে ভাল। না হলে জলের পরিমাণ যদি কম হয়, তবে চা, কফি, ফলের রস, স্যুপ, স্টু জাতীয় তরল পানীয় খেতে পারেন।
বেশি করে শাক-সব্জি খান
এই শীতে নানা রকম ভালমন্দ খাবারের হাতছানি তো থাকেই। লোভ সামলাতে না পেরে খেয়েও ফেলেন অনেকে। কিন্তু খাওয়ার এই অনিয়ম সরাসরি প্রভাব ফেলে ব্যক্তির বিপাক হারে। এই মরসুমে সুস্থ থাকতে এবং শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবারের জোগান দিতে টাটকা ফল এবং সব্জি খাওয়া জরুরি।
গরম জলের বাষ্প নিন
যেহেতু এই সময়ে বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়, তাই চট করে সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই সারা দিন পর কাজ থেকে ফিরে অবশ্যই গরম জলের ভাপ নিতে হবে। এই সময়ে করোনার প্রকোপ যেহেতু বাড়ছে, তাই শ্বাসনালিতে যদি কোনও ভাইরাস বাসা বেঁধেও থাকে, তা দূর হবে।