ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের আকাশের চেহারা বর্ষা আগমনের পূর্বাভাস দিলেও হাওয়া-অফিস এখনও সেই বিষয়ে কোনও সিলমোহর দেয়নি। বঙ্গে বর্ষার আগমনের নির্ধারিত সময় ছিল ১১ জুন। নিম্নচাপের প্রভাবে কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত ছাড়া তেমন কোনও মুখ দেখা যায়নি বর্ষার। ফলে এখনও মহানগর এবং দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা কাটেনি। কলকাতা সহ-দক্ষিণবঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রা। ফলে কমেনি হিটস্ট্রোকের আশঙ্কাও। বিশেষ করে চড়া রোদ মাথায় করে নিয়মিত যাঁদের বাইরে বেরোতে হয়, কিংবা যাঁরা সকালে শরীরচর্চা করতে বাইরে বেরোন, সুস্থ থাকতে তাঁদের আরও বেশি সাবধান থাকা প্রয়োজন।
গরমে সুস্থ থাকতে এবং হিটস্ট্রোক এড়াতে কী কী করণীয়?
১) নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে। খুব ভাল হয় যদি একটু বেশি সকাল বা ভোরে ব্যায়াম, প্রাণায়াম, ধ্যান করেন। সকাল সকাল উঠে অন্য কাজে হাত দেওয়ার আগে কিছুক্ষণ হলেও নিজের জন্য সময় বার করে নিন। সকালের মুক্ত বাতাসে প্রয়োজনে ছাদেও খানিক হাঁটাহাঁটি, দৌড়ঝাঁপ, প্রাণায়াম করে নিতে পারেন।
২) গরমে সুস্থ থাকতে প্রচুর জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, গরমে শারীরিক সমস্যাগুলির মূল কারণ জলের ঘাটতি। তেষ্টা না পেলেও প্রতি ১০ মিনিট অন্তর জল খেয়ে নিন। সকালে হাঁটতে গেলেও সঙ্গে রাখুন জলের বোতল। অফিসে কাজের চাপেও জল খেতে ভুলবেন না।
৩) সকালে শরীরচর্চা করার সময়ে সুতির ফুল হাতা পোশাক পরে বেরোনোই ভাল। বেশি চড়া কোনও রঙের বদলে হালকা রঙের পোশাক বেশি স্বস্তি দেবে। সানস্ক্রিন ব্যবহারও অত্যন্ত জরুরি। অন্য সময়ে রোদ থেকে বাঁচতে মাথায় জড়িয়ে নিতে পারেন সুতির স্কার্ফ। সঙ্গে ছাতা, জলের বোতল রাখতেও ভুলবেন না।
৪) রাস্তায় বেরিয়ে মাথা ব্যথা, বমি ভাব, বুক ধড়ফড়, মাথা ঘোরা, চোখে-মুখে অন্ধকার দেখা—এই ধরনের একটিও সমস্যা দেখা দিলে তা চেপে না রাখবেন না। দরকারে চিকিৎসককে ফোন করে পরামর্শ নিন। অফিসে আসার পর এমন কোনও সমস্যা হলে সহকর্মীদের জানান।
৫) গরমে বলে নয়, সারা বছরই সুস্থ থাকতে খাওয়াদাওয়ায় কিছুটা হলেও নিয়ম মেনে চলা জরুরি। এই গরমে বাড়িতে তৈরি করা খাবার বেশি করে খান। ফল, শাকসব্জি প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন। বাইরের তেল-মশলাদার খাবার বেশি না খাওয়াই ভাল। কাজের ফাঁকে টুকটাক মুখ চালাতে সঙ্গে রাখুন ড্রাই ফ্রুটস, মুড়ি-বাদাম, মাখানার মতো কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার।
৬। সকালে হাঁটতে বেরোলে এমন পথ দিয়ে হাঁটতে পারেন, যেখানে একটু হলেও গাছের ছায়া রয়েছে। তাতে সরাসরি সূর্যের তাপ গায়ে লাগবে না।