নিয়মিত শরীরচর্চা, যোগাভ্যাস, সঠিক খাদ্যাভাস ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
ডিম্বশয়ে ক্যানসার যতটা জটিল রোগ, ঠিক ততটাই ভয়াবহ এর চুপিসাড়ে ছড়িয়ে পড়া। অধিকাংশ মহিলাই যে লক্ষণগুলি সাধারণ পেটের সমস্যা বা হজমের গণ্ডগোল ভেবে গুরুত্ব দিতে চান না, সে থেকেই হতে পারে বিপদ। ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে রোগীর সেড়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। চিকিত্সকদের মতে, ঋতুবন্ধের পরে ওভারিয়ান ক্যানসারের ঝুঁকি আরও বাড়ে। তাই সে ক্ষেত্রে আরও বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সতর্ক হন এর লক্ষণগুলি সম্পর্কে।
ওভারিয়ান ক্যানসারের লক্ষণ
১) ঋতুস্রাবের সময়ে তলপেটে, কোমরে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু ঋতুস্রাব শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যদি এই ব্যথা থেকে যায় বা বার বার ব্যথা হতে থাকে তা ওভারিয়ান ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
২) যদি দেখেন অল্প খেলেই পেট ভরে যাচ্ছে বা বেশি খেতে পারছেন না, এবং এই অবস্থা যদি তিন-চার সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলে তা হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন। পেটের নানা সমস্যা কিংবা অবসাদের কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। তবে ডিম্বাশয়ে ক্যানসারের ঝুঁকিও কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
৩) পেলভিস অঞ্চলে ব্যথা, জল খুব বেশি না খেয়েও ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়াও ওভারিয়ান ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
প্রতীকী ছবি
এই রোগের ঝুঁকি কমবে কোন উপায়ে?
১) নিয়মিত শরীরচর্চা, যোগাভ্যাস, সঠিক খাদ্যাভাস ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। প্রতি দিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলেই এই রোগের ঝুঁকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, মটরশুঁটি, ডিম, বাদামের মতো ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার এবং গাজর, শাকসব্জি এবং মিষ্টি আলুর মতো উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন এ রয়েছে এমন খাবার খাদ্যতালিকায় রাখলে এই রোগের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
২) কারসিনোজেন এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে ট্যালকম পাউডার কিংবা সুগন্ধিতে এই পদার্থ ব্যবহার করা হয়। যতটা পারবেন এগুলি কম ব্যবহার করাই শ্রেয়।
৪) এই রোগের ঝুঁকি এড়াতে ধূমপান ও মদ্যপান খুব বেশি না করাই ভাল। এ গুলি কেবল ফুসফুসে ক্যানসার ঘটায় এমনটা নয়, এর থেকে ওভারিয়ান ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ে।
৫) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৩০ বছর বয়েসের আগে যে মহিলার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। যে সব মহিলা সন্তানদের স্তন্যদুগ্ধ পান করান তাঁদেরও এই রোগের ঝুঁকি কম।