ন্তানের বিকাশ কতটা দ্রুত ও সু্ষ্ঠু হবে, তা পুরোটাই নির্ভর করে মায়ের শারীরিক পরিস্থিতির উপর। প্রতীকী ছবি।
শরীরে নতুন প্রাণের উপস্থিতি টের পাওয়া মাত্রেই জরুরি হয়ে পড়ে বাড়তি যত্নের। এই সময় নানা ধরনের বিধিনিষেধ চলে আসে। নিয়ম মেনে চলতে হয়। খাওয়াদাওয়া থেকে চলাফেরা— প্রতিটি ধাপে সতর্ক থাকতে হয়। সন্তানের বিকাশ কতটা দ্রুত ও সু্ষ্ঠু হবে, তা পুরোটাই নির্ভর করে মায়ের শারীরিক পরিস্থিতির উপর।
উৎসবের মরসুম চলছে। শব্দ, বাজি, ধোঁয়া, দূষণ— এই সময় এগুলির প্রকোপ যেন আরও বেড়ে যায়। মা হতে চলেছেন যাঁরা, এই মরসুমে তাই বিশেষ সতর্ক থাকা প্রয়োজন। নয়তো সামান্য ভুলে হতে পারে মারাত্মক কোনও সমস্যা। হবু মায়েরা এই আবহে কী ভাবে নিজেদের যত্ন নেবেন?
মা হতে চলেছেন যাঁরা, এই মরসুমে তাই বিশেষ সতর্ক থাকা প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
আতশবাজি থেকে দূরে থাকুন
বাজির ধোঁয়া অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বাজির ধোঁয়া মা তো বটেই, গর্ভের সন্তানের বিকাশও ব্যহত হতে পারে। মায়ের শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে মায়ের যদি শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়, তার প্রভাব পড়তে পারে অনাগত সন্তানের উপরেও। বাজির ধোঁয়ায় নাই়ট্রাস অক্সাইড এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড থাকে। এই ধরনের বিষাক্ত বাষ্প অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
সুষম খাবার খান
শরীরে অন্য প্রাণকে বড় করে তোলা মুখের কথা নয়। বিধি-নিষেধের বেড়াজালে এই সময়টা না থাকলেই নয়। উৎসবের আবহে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। অন্তঃসত্ত্বা হলে এই সময় বাইরের খাবার একেবারে নৈব নৈব চ। কারণ এই সময় বাইরের খাবারে তেল-মশলার পরিমাণ অন্য সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়। শুধু উৎসব বলে নয়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বাইরের খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
রোজের ডায়েটে বাড়তি নজর দিন
কী খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন— অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই বিষয়গুলিতে জোর দেওয়া জরুরি। কারণ উৎসবের সময় অনিয়মটাই যেন দস্তুর। শরীরের এই অবস্থায় এমন করলে চলবে না। সময়ে খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে প্রচুর জল। শাকসব্জি খাওয়া প্রয়োজন। মিষ্টি কম করে খাওয়াই ভাল। এমন কিছু না খাওয়া ভাল, যা হজমের সমস্যার কারণ হতে পারে।
তীক্ষ্ণ আওয়াজ থেকে দূরে থাকুন
মাইক, জোরে বাজতে থাকা গান থেকে এই অবস্থায় দূরে থাকুন। শব্দবাজি থেকেও সুরক্ষিত থাকা প্রয়োজন। প্রয়োজনে বাড়ির দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখতে পারেন।
ভারী পোশাক
উৎসবের আবহে অনেকেই জমকালো পোশাক পরতে চান। তবে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় একটু হালকা পোশাক পরাই ভাল। বেশি ভারী পোশাক পরলে আলাদা করে সামলানোর একটা ঝক্কি থাকে। এই সময় যতটা ঝক্কিহীন থাকা যায়, ততটাই ভাল।