অনেকেই বুফেতে এত খাবার খেয়ে ফেলেন, যার ফলে শরীরে হাঁসফাঁস হয়। ছবি: সংগৃহীত।
শহর জুড়ে ইদানীং বুফে খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। একটি নির্দিষ্ট মূল্যের বিনিময়ে যত খুশি খেতে পেলে আর কী চাই! শহরের রেস্তরাঁগুলিতে হামেশাই থাকে নানা ধরনের বুফের অফার। তা ছাড়া, বিয়েবাড়িতে গেলেও বুফে খাওয়ার দিকেই লোকে এখন বেশি ঝোঁকেন। কিন্তু বুফে খাওয়া নিয়ে মাথাব্যথারও শেষ নেই। জমিয়ে বুফে খাবেন বলে দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকার অভ্যাসও রয়েছে কয়েক জনের। বুফে খেতে গিয়ে শরীর খারাপ করার কোনও অর্থ হয় না। অনেকেই বুফেতে এত খাবার খেয়ে ফেলেন, যার ফলে শরীরে হাঁসফাঁস হয়। কোন কোন নিয়ম মেনে বুফে খেলে শরীর খারাপ হবে না, রইল তার হদিস।
১) অনেক বেশি খাওয়াদাওয়া হবে ভেবে দীর্ঘ ক্ষণ খালি পেটে থাকা মোটেই কাম্য নয়। খেয়াল রাখুন, বুফে খাওয়ার আগে তিন-চার ঘণ্টার বেশি যেন পেট খালি না থাকে। দীর্ঘ ক্ষণ পেট খালি থাকার পর ভারী খাবার খেতে গেলেই গুলিয়ে উঠবে গা। ফলে অল্প খাওয়াদাওয়ার পরই বমি শুরু হয়।
২) বুফেতে গিয়ে বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। মুরগির কবাব, মাছের কবাব বেশি করে খেতেই পারেন। প্রোটিন পরিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে।
বুফেতে আছে বলেই যে সব খেতে হবে, এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন।
৩) বুফেতে এমন অনেক খাবার থাকে, যা আমরা খাই না। বুফেতে আছে বলেই যে সব খেতে হবে, এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। বুফে খেতে গিয়ে খাবার নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করার দরকার নেই। এতে অযথা পেট ভরে যাবে, আর শরীরও খারাপ হবে।
৪) একেবারে সব খাবার প্লেটে নিয়ে খেতে শুরু করবেন না। অল্প অল্প করে খান। খাওয়ার মাঝে বিরতি নিন। পেট ভরে গিয়েছে মনে হলে খাওয়া বন্ধ করে দিন।
৫) বুফে খেতে যাওয়ার আগে সারা দিন বেশি করে জল খান। বেশি করে খাওয়ার পর যদি শরীরে জলের ঘাটতি হয় তাহলে কিন্তু বদহজম হতে পারে।