হাড়ের যত্ন নিন। ছবি: সংগৃহীত।
ভিতরে ভিতরে হাড়ের ক্ষয় হচ্ছে কি না, তা বাইরে থেকে বোঝা যায় না। অথচ একটা বয়সের পর থেকে পর্যাপ্ত যত্নের অভাবে হাড়ের নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তবে শুধু বয়স বাড়লেই নয়। হাড়, পেশি সংক্রান্ত নানা শারীরিক সমস্যায় ইদানীং নাজেহাল হচ্ছেন কমবয়সিরাও। দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা, শরীরচর্চা না করা, বাইরের খাবার বেশি করে খাওয়ার মতো অভ্যাসে মূলত হাঁটুতে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, পেশির নমনীয়তা হারানোর মতো সমস্যাগুলি হয়। পেশিতে ব্যথা, পা ফুলে যাওয়া, হাঁটাচলায় সমস্যা হওয়া— এগুলি হল হাড় কমজোরি হয়ে পড়ার কিছু লক্ষণ। রোজের জীবনে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে সাবধান হওয়া জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে তো হবেই। সেই সঙ্গে রোজের জীবনে কিছু নিয়মও মানতে হবে। কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাসেই শক্তিশালী হবে হাড়। পেশিও ফিরে পাবে নমনীয়তা।
১)সুষম ডায়েট: হাড়ের যত্ন নেওয়ার অন্যতম পথ হল ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া। রোজের ডায়েটে ক্যালশিয়াম আছে, এমন খাবার রাখতেই হবে। দুগ্ধজাত খাবার, সবুজ শাকসব্জিতে ভিটামিন ডি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। ভিটামিন ডি-ও খেয়াল রাখে হাড়ের। রোদ হল ভিটামিন ডি-এর সমৃদ্ধ উৎস। সামুদ্রিক কিছু মাছেও এই ভিটামিন রয়েছে।
২) নিয়মিত শরীরচর্চা: হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি এড়াতে শরীরচর্চার কোনও বিকল্প নেই। প্রতি দিন যদি অল্প সময়ের জন্যেও শারীরিক কসরত করেন, তা হলে বার্ধক্যে হাড়ের সমস্যা নিয়ে ভাবতে হয় না। হাঁটাচলা, ওজন তোলার মতো কিছু শরীরচর্চা করতে পারেন। নাচও কিন্তু ভাল ব্যায়াম।
৩)ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা: বাড়তি ওজন থেকে শরীরের নানা সমস্যার সূত্রপাত। অস্থি ক্ষয়ের কারণও অতিরিক্ত ওজন। তাই সবচেয়ে আগে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ওজন বেড়ে গেলে হাড়ের উপর চাপ পড়ে। চাপ থেকেই অস্থি সংক্রান্ত নানা সমস্যার শুরু। সার্বিক ভাবে সুস্থ থাকতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
৪) বেশি জল খাওয়া: সারা দিনে কাজের ফাঁকে জল খাওয়ার কথা অনেকেই ভুলে যান। জল কম খাওয়ার ফলে শরীরের জলের ঘাটতি দেখা দেয়। শরীর আর্দ্রতা হারাতে থাকে। এর প্রভাব পড়ে হাড়ের উপরেও। হাড় ভাল রাখতে তাই জল খেতে হবে বেশি করে।
৫) মদ্যপান না করা: মদ্যপান, ধূমপানের অভ্যাসে যে সমস্যাগুলি দেখা দেয়, হাড় কমজোরি হয়ে পড়া তার মধ্যে অন্যতম। হাড়ের খেয়াল রাখতে এই ধরনের অভ্যাস থেকে দূরে থাকা জরুরি। এতে শুধু হাড়ের ক্ষয় নয়, আরও অনেক শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়।