‘চিট মিল’ খেতে হবে নিয়ম মেনে। ছবি: শাটারস্টক।
রোগবালাইয়ের প্রকোপ থেকে বাঁচতে ওজন বাগে রাখতেই হবে। বাড়তি মেদ ঝরাতে শরীরচর্চা থেকে কড়া ডায়েট, কোনও কিছুতেই খামতি রাখছেন না। ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সাধের রোল-চাউমিন থেকে মোমো, চাইনিজ় থেকে বিরিয়ানি— সব কিছু থেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। তবে মাঝেমধ্যে তো একটু ভালমন্দ খেতে মন চাইতেই পারে। ‘চিট মিল’-এর কথা ভাবলেই জিভে জল চলে আসে ডায়েট-করিয়েদের। রোজ রোজ পরিমিত, পুষ্টিকর খাবার সময় ধরে খেতে খেতে স্বাদবদল করতে ইচ্ছা করতেই পারে। বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও মাঝেমধ্যেই ‘চিট মিল' করেন। পুষ্টিবিদেরাও বলছেন, ডায়েট রুটিনের মাঝে কখনও কখনও পছন্দের পিৎজ়া, বিরিয়ানি, মিষ্টি খেতেই পারেন। তবে কাজটা করতে হবে বুদ্ধি করে। আর মাথায় রাখতে হবে কয়েকটা বিষয়। জেনে নিন, কোন নিয়ম মেনে ‘চিট মিল’ খেলে ওজন বাড়বে না।
১) সদ্য শরীরচর্চা শুরু করেছেন কিংবা পুষ্টিবিদদের পরামর্শে নয়া ডায়েট প্ল্যান চালু করেছেন? ডায়েট শুরুর প্রথম এক মাসের মধ্যে ‘চিট মিল’ না খাওয়াই ভাল। নইলে ডায়েটের পুরো প্রচেষ্টাই বৃথা হবে।
২) যদি ‘চিট মিল’ খেতে চান, তা হলে একটু বুদ্ধি করে খান। হয় শরীরচর্চার আগে, নয় তো পরে খান। ওয়ার্কআউটের আগে খেলে গ্লাইকোজেন ফ্যাটে পরিণত হওয়া রুখে দেবে। পরে খেলে তা পেশির ক্ষয় মেটাতে সাহায্য করবে।
৩) ‘চিট মিল’ খাওয়ার ক্ষেত্রে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। ‘চিট মিল’ যত ছোট হবে, যত কম সময় ধরে খাবেন, শরীরে মেদ জমার পরিমাণও ততই কম হবে। ‘চিট মিল’ যাতে কখনওই ৩০-৪৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে না খাওয়া হয়, সে দিকে নজর রাখুন। অনেকেই ‘চিট মিল’-এর পরিবর্তে, ‘চিট ডে’ বেছে নেন। অর্থাৎ, সারা দিন ধরেই চলে দেদার খাওয়াদাওয়া। এমনটা না করে দিনের একটি বেলায় পছন্দ অনুযায়ী খাবার খান।
৪) ‘চিট মিল’ কতটা খেতে পারেন, আপনার শরীরকে প্রশ্ন করলেই উত্তর পেয়ে যাবেন। যদি আপনি রোগা হন, তা হলে প্রায়শই ‘চিট’ করতে পারেন। শরীরে মেদের পরিমাণ যত বেশি হবে, চিট করার অনুমতিও তত কম। তবে স্থূলতার সমস্যা থাকলে ‘চিট মিল’ যত কম খাবেন, ততই ভাল।
৫) ‘চিট মিল’-এ প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেটের ব্যালান্স থাকা একান্ত প্রয়োজন। শুধু ট্রান্সফ্যাট জাতীয় খাবার, ভাজাভুজি, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া মোটেও ভাল নয়। একটু বুদ্ধি করে খেলে তবেই ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।