শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে বাড়ির খুদেকে দূরে রাখার পাশাপাশি, তার হাড়ের খেয়ালও রাখতে হবে। ছবি: সংগৃহীত
বয়স বাড়লে হাড় কমজোরি হয়ে পড়ে। হাড়ের কর্মক্ষমতাও আগের মতো থাকে না। অস্থি সংক্রান্ত নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তাই বার্ধক্য আসার আগেই যত্ন নিতে হবে হাড়ের। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বয়সকালে অস্থিজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ছোট থেকে হাড়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এই দায়িত্ব নিতে হবে বাড়ির বড়দেরই। শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে বাড়ির খুদেকে দূরে রাখার পাশাপাশি, তার হাড়ের খেয়ালও রাখতে হবে।
খেয়াল রাখুন শিশুর শরীরে ভিটামিন ডি যাচ্ছে কি না
হাড়ের যত্ন নিতে ভিটামিন ডি-র জুড়ি মেলা ভার। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হাড় ক্ষয়ের অন্যতম কারণ। এটা সব বয়সের জন্য প্রযোজ্য। শিশুর শরীরে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত পরিমাণে যাচ্ছে কি না, তা খেয়াল রাখুন। সারা দিনে যেন অন্তত ১০-১৫ মিনিট শিশু রোদে থাকে। এ ছাড়া শিশুর রোজের পাতে চিজ, সামু্দ্রিক মাছ, দুধ— ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়ান।
ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান
হাড় ভাল রাখতে ভিটামিন ডি যতটা উপকারী, ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ ক্যালশিয়াম। তাই শিশু যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালশিয়াম পায়, সেদিকে লক্ষ রাখুন। দুধে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। রোজ অন্তত দু’গ্লাস করে দুধ খাওয়ান খুদেকে।এ ছাড়াও শিশুর খাবার পাতে রাখুন দই, পালংশাকের মতো ভিটামিন ডি-এ ভরপুর কয়েকটি খাবার।
রোজ অন্তত দু’গ্লাস করে দুধ খাওয়ান খুদেকে। ছবি: সংগৃহীত
ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান
হাড়ের যত্ন নেয় যে ভিটামিনগুলি তার মধ্যে অন্যতম ভিটামিন কে। এই ভিটামিনের অভাবে রিকেট, অস্টিয়োপোরেসিস, এবং হাড়ের আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়। এই ভিটামিন আপনার শিশুর হাড় শক্তিশালী করে তুলবে। বাঁধাকপি, পালংশাক, অঙ্কুরোদগম ছোলার মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান বেশি করে। এই ধরনের শাকসব্জিতে ভিটামিন কে ভরপুর মাত্রায় থাকে।