দীর্ঘ দিন ধরে পরিশ্রম করেও সুফল না মেলায় অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। প্রতীকী ছবি।
সুস্থ থাকতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সবচেয়ে জরুরি। কারণ স্থূলতার হাত ধরেই কোলেস্টেরল, থাইরয়েড, আর্থরাইটিসের মতো নানা সমস্যা বাসা বাঁধে শরীরে। তাই ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদরা। তবে ওজন কমানো কোনও চটজলদি বিষয় নয়। পর্যাপ্ত ঘুম, সঠিক খাওয়াদাওয়া, শরীরচর্চা, বয়স— কয়েকটি জিনিসের উপর নির্ভর করে কত দ্রুত ওজন ঝরানো সম্ভব। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এগুলি ছাড়াও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হয়ে দাঁড়ায় রক্তের গ্রুপ।
নিয়মিত শরীরচর্চা, কঠোর ডায়েট, পছন্দেক খাবার থেকে দূরে থাকা— এত কিছু করেও অনেকেই ওজন কমাতে ব্যর্থ। চাইলেই রোগা হওয়া সত্যিই সহজ নয়। অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। পরিশ্রম করেও রোগা না হওয়ার একটি কারণ হতে পারে ঠিক করে হজম না হওয়া। এ ছাড়াও হরমোনজনিত কোনও সমস্যা থাকলেও চেষ্টা করেও কমতে চায় না ওজন। দীর্ঘ দিন ধরে পরিশ্রম করেও সুফল না মেলায় অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েন। তবে দ্রুত রোগা হওয়ার একটি উপায় বলেছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁদের মতে, রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী যদি কেউ খাওয়াদাওয়া করেন, তা হলে রোগা হওয়া অনেক বেশি সহজ হবে। কারণ রক্তের গ্রুপ ঠিক করে দেবে যে আপনার শরীরের জন্য ঠিক কোন ধরনের ডায়েট উপযুক্ত হবে, কোন ধরনের শরীরচর্চায় মেদ ঝরবে দ্রুত। রোগা হতে চাইছেন? তা হলে দেখে নিন আপনার রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী কোন খাবারগুলি ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
গ্রাফিক সৌজন্যঃ শৌভিক দেবনাথ।
গ্রুপ ‘ও’
এই গ্রুপের রক্ত যাঁদের শরীরে বইছে, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে তাঁরা উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারের উপর ভরসা রাখতে পারেন। মাংস, মাছ, শাকসব্জি, পোলট্রির মাংস, শস্য, বিনস এবং দুগ্ধজাত খাবার রোজের পাতে রাখতে পারেন। ওজন কমানো সহজ হবে।
গ্রুপ ‘এ’
‘এ’ গ্রুপের রক্তের মানুষেরা ওজন কমাতে চাইলে রোজের ডায়েটে রাখতে পারেন ফল এবং সবুজ শাকসব্জি। বিনস্, ছোলা, গাজর, আপেল, বেদানা— এই ধরনের ফল এবং সব্জি বেশি করে খান। ওজন কমানো সহজ হবে।
গ্রুপ ‘বি’
কর্ন, ময়দা, টম্যাটো, বাদাম, তিল, চিকেন— ‘বি’ গ্রুপের রক্তের মানুষেরা রোগা হওয়ার ডায়েটে এই খাবারগুলি রাখবেন না। তার চেয়ে সবুজ শাকসব্জি, ডিম, একেবারে কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত কোনও খাবারে বেশি ভরসা রাখতে পারেন।
গ্রুপ ‘এবি’
টোফু, সামুদ্রিক খাবার, সবুজ শাকসব্জি— রোগা হতে চাইলে ‘এবি’ গ্রুপের রক্তের মানুষেরা এই ধরনের খাবারের উপর বেশি ভরসা করতে পারেন। তবে কফি, অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়, সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করা জরুরি। কারণ এই অভ্যাস ওজন কমানোর পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।