পেটের গোলমাল থেকে পুজোয় নিজেকে দূরে রাখুন। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো মানেই ভূরিভোজ হলেও নবমীর খাওয়াদাওয়ার বিষয়টি আলাদা। বাড়ি হোক কিংবা রেস্তরাঁ, নবমীতে কব্জি ডুবিয়ে না খেলে পুজোর আমেজটাই যেন নষ্ট হয়ে যায়। পাঁঠার মাংস থেকে ইলিশ— ভোজনরসিক বাঙালির পাতে নবমীর দিন তাই বাদ যায় না কিছুই। কিন্তু স্বাদের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি তো পেটের খেয়ালও রাখতে হবে। না হলে পুজোর আনন্দটাই মাটি হয়ে যাবে। জমিয়ে খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে দেদার তেল-মশলাদার খাবার খেয়েও সুস্থ থাকা সম্ভব।
১) যাই খান, যতটুকুই খান, জল খাওয়ার কথা ভুললে চলবে না। হুল্লোড় আর হইচইয়ের মাঝে জল খাওয়ার কথা অনেক সময় মনে থাকে না। মুখরোচক খাবারের সঙ্গে যদি জল খাওয়া কমিয়ে দেন, তাহলে পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে। উৎসব-অনুষ্ঠানে মদ্যপান করেন অনেকেই। সে ক্ষেত্রেও পরিমাণ মতো জল খেতে হবে।
২) পাতে কী থাকছে তার পাশাপাশি কী ভাবে খাচ্ছেন, সেটাই কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুজোর সময় খাওয়াদাওয়ায় কোনও নিয়ম মানা সম্ভব হয় না। সেই সঙ্গে দেদার বাইরের খাবার খাওয়া তো আছেই। তবে ঘড়ি ধরে খেলে খানিকটা সুস্থ থাকা যায়। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর খেলে মুশকিলে পড়তে পারেন।
৩) ভরপেটে খাওয়ার পরেই শুয়ে পড়বেন না। অন্তত ৪৫ মিনিট একটু হাঁটাহাঁটি করে নিন। কিংবা বসে গল্পও করতে পারেন। খাবার খাওয়ার পরে বিছানায় শরীর এলিয়ে দিলে সহজে হজম হতে চায় না। গ্যাস, অম্বল, পেট ফাঁপার সমস্যা হয় তখন।
৪) খাবার খাওয়ার পর একটু শারীরিক অস্বস্তি হলেই ওষুধ খেয়ে নেন অনেকে। এমনিতে গ্যাসের ওষুধ খাওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। তার উপর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ ধরনের ওষুধ না খাওয়াই ভাল। শরীর খারাপ লাগলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা জরুরি।