পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় যখনই দুধ খাবেন, গরম করে খাওয়া জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষায় রোগবালাইয়ের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। এই সময় এমনিতেই প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। ফলে যে কোনও সংক্রমণ খুব সহজেই হানা দেয় শরীরে। ফলে ঝুঁকি এড়াতে এ সময় বাড়তি সতর্কতা নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে খাওয়ার ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, খাবার থেকেই যাবতীয় সংক্রমণের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। বাইরের খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেওয়া জরুরি। বর্ষায় এমনিতে গ্যাস-অম্বল হয় বেশি। বাইরের খাবার খেলে সেই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। সেখান থেকে ডায়রিয়ার মতো রোগের আশঙ্কাও থেকে যায়।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বাইরের খাবার থেকে দূরে থাকার পাশাপাশি ঘরোয়া খাবার নিয়ে সচেতন থাকতে হবে। এই সময় প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দুগ্ধজাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়ার কথা বলছেন। বিশেষ করে দুধ খাওয়া অপরিহার্য। দুধে থাকা ক্যালশিয়াম রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায় শরীরে। বর্ষাকাল বলে নয়, অনেকেই সারা বছর নিয়ম করে দুধ খান।
বর্ষায় রোজের খাদ্যতালিকায় দুধ থাকা উচিত। তবে সুস্থ থাকতে শুধু দুধ খেলেই হবে না। কী ভাবে দুধ খেলে উপকার পাওয়া যাবে, তা জেনে রাখা জরুরি।
পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় যখনই দুধ খাবেন, গরম করে খাওয়া জরুরি। দুধ খেলে অনেকেরই গ্যাস-অম্বল হয়। তবে ভাল করে জাল দিয়ে নিলে হজমের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। গরম দুধে থাকা মিনারেল, ভিটামিন শরীর সহজে শোষণ করে।দুধ গরম করারও কিন্তু নানা উপায় আছে। কী ভাবে গরম করবেন দুধ? একেবারে ঘন দুধ খাওয়ার চেয়ে কিছুটা জল মিশিয়ে নেওয়া জরুরি। দুধ যত পাতলা হবে, পেটের গোলমালের ঝুঁকি তত কমবে না। এক কাপ দুধে মেশান আধ কাপ মতো জল। তার পর ভাল করে ফুটিয়ে খান। উপকার পাবেন।
বর্ষায় দুধ খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি?
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধ খান অনেকেই। হজমজনিত কোনও সমস্যা না থাকলে এই অভ্যাস বজায় রাখতে পারেন। তবে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থাকলে বর্ষায় সকালের দিকে দুধ খেয়ে নেওয়াই ভাল। সকালের দিকে হজমশক্তি ভাল থাকে। ফলে দুধ খেলেও হজম করতে কোনও অসুবিধা হবে না।