Cooking Tips

নিয়ম মেনে না রাঁধলে বাড়িতে তৈরি খাবারও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে! কী ভাবে?

বেশির ভাগ মানুষের মনেই এমন ধারণা রয়েছে যে, বাড়িতে তৈরি খাবার খেলে বোধ হয় কোনও রোগ তাঁকে ছুঁতে পারবে না। খাবারের পুষ্টিগুণও বজায় থাকবে। তা কি আদৌ সত্যি?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৪ ১৯:৩৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

শরীরের কথা ভেবেই বাইরের খাবার খান না। বিরিয়ানি থেকে বড়াপাও— সবই বাড়িতে তৈরি করেন। সময়, শ্রম, দুই-ই যায়। তবু সে খাবার খেয়ে শান্তি। বাইরের পোড়া তেল কিংবা কয়েক দিনের রাখা খাবার তো নয়! বেশির ভাগ মানুষের মনেই এমন ধারণা রয়েছে যে, বাড়িতে তৈরি খাবার খেলে বোধ হয় কোনও রোগ তাঁকে ছুঁতে পারবে না। খাবারের পুষ্টিগুণও বজায় থাকবে। তেমন খাবার খেলে তবেই গায়ে গত্তি লাগবে।

Advertisement

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ প্রকাশিত একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এমন ধারণার কোনও যুক্তি নেই। কারণ, রান্নার ভুলেই বাড়ির খাবার কিছু ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। জানেন, সেগুলি কী ?

১) শাকপাতা বা সব্জির মধ্যে এমন অনেক প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ রয়েছে, যেগুলি অতিরিক্ত তাপমাত্রার সংস্পর্শে এলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই এই ধরনের খাবার দীর্ঘ ক্ষণ ধরে রান্না করে খেলে তা শরীরের কোনও উপকারেই আসে না।

Advertisement

২) রোজকার রান্নায় অতিরিক্ত তেল, ঘি বা মাখনের ব্যবহার খাবারের পুষ্টিগুণ কমিয়ে দিতে পারে। উল্টে এমন খাবার খেলে মেদ বেড়ে যাওয়ার ভয় থেকে যায়।

৩) ডুবোতেলে ভাজা, পোড়া কিংবা সরাসরি আগুনে সেঁকা খাবার বেশি খাওয়াও বিপজ্জনক। বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রোটিন জাতীয় খাবার আগুনে ঝলসালে তার মধ্যে ক্ষতিকর দু’টি উপাদান ‘অ্যাক্রায়লামাইড্‌স’ এবং ‘হেটেরোসাইক্লিক অ্যামাইন্‌স’ তৈরি হয়। এই দু’টি উপাদানের সঙ্গেই কিন্তু ক্যানসারের যোগ রয়েছে।

৪) দোকানে কিংবা রেস্তরাঁয় বাজারচলতি সাধারণ নুন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আপনি বাড়ির রান্নায় ‘পিঙ্ক সল্ট’ ব্যবহার করেন। তাই বলে কি অতিরিক্ত নুন খেয়ে ফেলা যায়? সাধারণ এই সচেতনতার অভাবেই কিন্তু হার্টের জটিলতা বেড়ে যেতে পারে।

৫) বাজার থেকে কিনে আনা কাঁচা খাবার সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করতে না জানলেও কিন্তু বিপদ আছে। পচনশীল খাবার বেশি দিন ভাল রাখা যায় না। তবু নিয়ম মেনে সংরক্ষণ করলে দু-চার দিন ভাল রাখা যায়। না হলে সহজেই খাবারে ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement