কী ভাবে খাওয়া যায় শুকনো ফল? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে যা যা খেতে হয়, তার তালিকা দীর্ঘ। প্রথমে উষ্ণ জলে লেবুর রস, মধু। তার পর আদা, হলুদ কিংবা এককোয়া রসুনও খেতে হয়। এখানেই শেষ নয়, তার বেশ কিছু ক্ষণ পর শুকনো ফল, বাদাম কিংবা বিভিন্ন বীজ খেতে হয়। নিয়মিত এই সমস্ত খাবার খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এগুলি হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। শরীরে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খনিজের জোগান দেয় এই খাবারগুলি। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলার জন্যেও অনেকে এই সমস্ত খাবার নিয়মিত খাওয়া অভ্যাস করেন। কিন্তু কাজের তাড়ায় রোজ এতগুলো জিনিস খাওয়ার কথা মনে থাকে না। অনেক সময় বাদাম বা বীজগুলি আগের দিন রাত থেকে ভেজাতে ভুলেও যান অনেকে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সকালে খালি পেটে খেতে ভুলে গেলে এই সব খাবার যে আর খাওয়া যায় না, তা কিন্তু নয়। কয়েকটি উপায় জানা থাকলেই বিভিন্ন খাবারের মধ্যে শুকনো বাদাম, বীজ বা ফল যোগ করাই যায়।
জলে না ভিজিয়েও আর কী কী ভাবে এই ধরনের শুকনো ফল, বাদাম কিংবা বীজ খাওয়া যেতে পারে?
১) ঘিয়ে ভেজে
ঘিয়ে ভাজা বাদাম, কিশমিশ ব্যবহার করা হয় রান্নায়। আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে, বাদাম, শুকনো ফল, বিভিন্ন রকম বীজের মধ্যে থাকা পুষ্টিগুণ বেড়ে যায় ঘিয়ের গুণে।
২) মিষ্টি পদে
দিওয়ালি উপলক্ষে বাড়িতে নানা রকম মিষ্টি পদ বানাচ্ছেন? বিভিন্ন রকম বাদাম, শুকনো ফল এবং বীজ কুচিয়ে তার মধ্যে দিয়ে দিন। স্বাদ এবং স্বাস্থ্য দুইই রক্ষা হবে।
বাদাম ও বীজের মিশ্রণ বিকেলের অল্প খিদে মেটাতে দারুণ কাজ করে। ছবি: সংগৃহীত।
৩) বাদাম, বীজের মিশ্রণ
কাঠবাদাম, আখরোট, কুমড়ো এবং সূর্যমুখীর বীজ একসঙ্গে মিশিয়ে রাখুন। প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু খনিজে ভরপুর এই মিশ্রণ বিকেলের অল্প খিদে মেটাতে দারুণ কাজ করে। স্বাস্থ্যকর এই খাবার তেলে ভাজা খাবারের চেয়ে ঢের ভাল।