Pranayam

Diabetes Control: ৩ প্রাণায়াম: জব্দ হবে ডায়াবিটিস

সারা দিনের কর্মব্যস্ততার মধ্যে অনেকেই শারীরিক কসরত করার সময় পান না। সে ক্ষেত্রে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রাণায়ামে ভরসা রাখতে পারেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২২ ১১:১০
Share:

ডায়াবিটিসের কারণ হল শরীরে ইনসুলিন হরমোনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অভাব। ছবি: সংগৃহীত

ডায়াবিটিসের সমস্যা আজ ঘরে ঘরে৷ এই রোগের হাত ধরেই উচ্চ রক্তচাপ, খারাপ কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, মেদবাহুল্য, ইসকিমিয়া ইত্যাদিরও রমরমা৷ এক রোগের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক জটিল রোগ। ডায়াবিটিসের কারণ হল শরীরে ইনসুলিন হরমোনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অভাব। ডায়াবিটিস বংশগত রোগ। তবে কায়িক পরিশ্রম কম করা, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে এই রোগ যুব প্রজন্মের মধ্যে অসময়ে কড়া নাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবনযাত্রায় সামান্য পরিবর্তন আনতে পারলেই এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। সারা দিনের কর্মব্যস্ততার মধ্যে অনেকেই শারীরিক কসরত করার সময় পান না। সে ক্ষেত্রে প্রাণায়ামে ভরসা রাখতে পারেন।

Advertisement

১৫ মিনিটের এই তিন প্রাণামেই জব্দ হবে ডায়াবিটিস

ভ্রামরি প্রাণায়াম

Advertisement

প্রাণায়ামটি করার সময়ে ভ্রমরের মতো গুঞ্চন হয়। তাই এই নামকরণ। দুই হাতের তর্জনি, দুই কানের উপর রাখুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে একটি গভীর শ্বাস ভিতরে টানুন। এ বার মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়ার সময়ে গলা দিয়ে নিচু স্বরে একটি ‘হুম’ আওয়াজ করুন। এই প্রাণায়াম রোজ করতে পারলে মানসিক চাপ কমে। স্নায়ু শান্ত হয়। রক্তে পর্যাপ্ত মাত্রায় অক্সিজেন পৌঁছায়। ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

প্রতীকী ছবি

অনুলোম-বিলোম

অন্যতম কার্যকরী প্রাণায়াম। এই প্রাণায়ামটি হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুসকে ভাল রাখে। এ ক্ষেত্রে একটি আঙুল দিয়ে এক দিকের নাক বন্ধ রেখে অন্য নাক দিয়ে শ্বাস নিন। তার পর সেই নাকটি বন্ধ করে অন্য নাকটি খুলে শ্বাস ছাড়ুন। যোগশাস্ত্রে বলা হয়, এই প্রাণায়াম নিয়মিত অভ্যাস করলেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

ভস্ত্রিকা প্রাণায়াম

জোড়ে শ্বাস নিন। তার পর শ্বাস ছেড়ে দিন সম্পূর্ণ। এ ক্ষেত্রে যতটা শ্বাস নেবেন, ততটাই ছাড়তে হবে। সুবিধার জন্য এক থেকে চার গুনতে গুনতে শ্বাস নিন এবং এক থেকে চার গুনতে গুনতে শ্বাস ছাড়ুন। তিন থেকে ছ’মিনিট এই প্রাণায়ামটি করা উচিত। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, সাইনাসের সমস্যা থাকলে এই প্রণায়াম দারুণ উপকারী। এর ফলে ফুসফুস শক্তিশালী হয়ে ওঠে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বেড়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গগুলির কার্যকরিতা বাড়ে। ফলে অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। টাইপ-২ ডাবিটিসের ক্ষেত্রে এই প্রাণায়াম অত্যন্ত উপকারী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement