রোগা হওয়ার সহজ উপায় হিসাবে না খেয়ে থাকাটাই বেছে নেন অনেকে। ছবি: সংগৃহীত
ওজন কমানো একটি দীর্ঘ এবং পরিশ্রমসাধ্য প্রক্রিয়া। ঝক্কিও কম নেই। নিয়ম করে শরীরচর্চা, জিমে যাওয়া, খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানা অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা সত্ত্বেও অনেকেই ওজন কমাতে সক্ষম হচ্ছেন না। ফলে ধৈর্য হারিয়ে মাঝপথে রোগা হওয়ার বাসনাই ইতি টানছেন। চেষ্টা করেও সফল না হওয়ার পিছনে রয়েছে কিছু কারণ। ওজন কমানোর এই পর্বে সেগুলি এড়িয়ে চললেই রোগা হওয়া আরও সহজ হয়ে যাবে।
১) না খেয়ে থাকা: রোগা হওয়ার সহজ উপায় হিসাবে না খেয়ে থাকাটাই বেছে নেন অনেকে। সমস্যাটা শুরু হয় এখান থেকেই। না খেয়ে থাকার ফলে তার বিপাকীয় হারে। দুর্বলতা ও ক্লান্তি তো আছেই। এর ফলে ব্যহত হয় শরীরচর্চাও। প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকেও বঞ্চিত হয় শরীর। সব মিলিয়ে ওজন হ্রাসের কোনও লক্ষণ দেখা যায় না।
ওজন কমানোর প্রথম ধাপই হল সকালে ভারী জলখাবার খাওয়া। ছবি: সংগৃহীত
২) প্রাতরাশ না করা: ব্যস্ততা হোক বা অন্য কোনও কারণ— অনেকেই সকালের খাবার এড়িয়ে চলেন। কিংবা খেতে ভুলে যান। এই অভ্যাস দীর্ঘ দিন ধরে চললে ওজন বাড়ে বই কমে না। সকালের খাবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রাতরাশে কী থাকছে তার উপর নির্ভর করে সারা দিনের শরীরের হালচাল। পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন কমানোর প্রথম ধাপই হল সকালে ভারী জলখাবার খাওয়া।
৩) পর্যাপ্ত প্রোটিনের ঘাটতি: পরিমাপ মতো খাওয়াদাওয়া করাটা ওজন কমানোর অন্যতম উপায়। খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানতে গিয়ে অনেকেই প্রোটিন, ফ্যাটের মতো শরীর-বান্ধব উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে ফেলেন। শরীরে সেগুলির ঘাটতি তৈরি হয়। পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন কমাতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার একেবারে বাদ দিলে চলে না। ওজন ঝরাতে প্রোটিনেরও সমান ভূমিকা আছে।