বয়সের সঙ্গে বেড়েছে শরীরের মেদেও। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স ৪০ পেরিয়েছে। সঙ্গে একটু একটু করে ওজনও বাড়ছে। এ সময়ে নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে শরীর সুস্থ রাখাও হবে চিন্তার বিষয়। কিন্তু বয়সের সঙ্গে যেন জেদ বেড়েছে শরীরের মেদেরও। কী ভাবে এই বয়সে ওজন কমাবেন? ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে কিছু নিয়ম মেনে চলুন। রোজের জীবনধারায় আনুন পরিবর্তন। তবেই মেদ ঝরবে। সুস্থ থাকবে শরীর।বাড়তি বয়সে হজমশক্তি দুর্বল হতে শুরু করে। সঙ্গে আসে হরমোনের কিছু পরিবর্তন। ফলে এত দিন যে ভাবে চলত শরীর, এখন আর সে ভাবে চলে না। এই বয়সে ফিট থাকতে কী করবেন আর কী করবেন না?
ছবি: সংগৃহীত।
সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ: অনেক সময় দ্রুত ওজন ঝরাতে অনেকেই সাপ্লিমেন্টের উপর ভরসা রাখেন। তবে পুষ্টিবিদরা কিন্তু ওজন ঝরানোর জন্য সাপ্লিমেন্ট এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। তাদের মতে, সাপ্লিমেন্ট খেলে চটজলদি ওজন ঝরানো যায় বটে, তবে সে ওজন খুব বেশি দিন ধরে রাখা যায় না। শরীরে নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়। অনেক সময় পেশিশক্তি বৃদ্ধি করতে মাত্রাতিরিক্ত সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করেন তরুণ-তরুণীরা, এই সব থেকে কিন্তু হৃদ্রোগ হওয়ারওও ঝুঁকি থেকে যায়।
ওজন ধরে রাখা: সামনেই পুজো? তাই সুন্দর ছিপছিপে শরীর পেতে আপনি অনেক কসরত আর ডায়েট করে ওজন কমানোর পরিকল্পনা করছেন। সঠিক পদ্ধতি মেনে চললে আপনি হয়তো ওজন ঝরিয়েও ফেলবেন, তবে সতর্ক না থাকলে পুনরায় ওজন বাড়তে কিন্তু খুব বেশি সময় লাগবে না। তার পরেও নিয়মিত শরীরচর্চা চালিয়ে যেতে হবে, পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেও খুব বেশি অনিয়ম করলে চলবে না।
প্রাতরাশ এড়িয়ে চলা: ওজন কমানোর জন্য খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেন অনেকে। সবার আগে কোপ পড়ে প্রাতরাশের উপর। অনেকেই ঘুম থেকে উঠে খাওয়াদাওয়া না করেই কাজে বেরিয়ে পড়েন। দুপুরের খাবারের আগে মুখে কিছুই তোলেন না, এই অভ্যাসও কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। পুষ্টিবিদেরা বারে বারে বলেন, প্রাতরাশের উপর বেশি নজর দিতে। তাই স্বাস্থ্যকর, কম ক্যলোরির খাবার দিয়ে দিন শুরু করাই ভাল।