কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে ওজন ঝরানো অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত
আজকাল সুস্থ থাকার অন্যতম উপায় হল ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। মেদ ঝরিয়ে রোগা হওয়া ছাড়াও বিভিন্ন অসুস্থতার জুঁকি কমাতেও ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। হাঁটুর ব্যথা থেকে ডায়াবিটিস, হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখা থেকে কোমরে ব্যথা— সুস্থ থাকতে শরীরের বাড়তি ওজন বশে রাখা জরুরি। প্রতি দিন ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া, ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুমের উপর ভরসা করে মূলত ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি চলে। তবে এত কিছুর মধ্যেও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে ওজন ঝরানো অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। কোন কোন বিষয়ে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে?
শরীরে প্রোটিনের মতো কার্বোহাইড্রেটের সমান প্রয়োজনীয়তা আছে। ছবি: সংগৃহীত
১) কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বন্ধ করবেন না: কার্বোহাইড্রেট ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে— এমন একটি ভ্রান্ত ধারণা অনেকের মধ্যেই আছে। কিন্তু শরীরে প্রোটিনের মতো কার্বোহাইড্রেটের সমান প্রয়োজনীয়তা আছে। বিশেষ করে ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায়। কার্বোহাইড্রেট দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরতি রাখে। বারে বারে খাওয়ার প্রবণতা কমায়। শরীরে ভিতর থেকে শক্তি জোগায়। ফলে শরীরচর্চা করতেও আলাদা উৎসাহ জাগে। রোগা হওয়ার এই পর্বে তাই কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ ফল এবং শাকসব্জি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন।
২) পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি: ওজন কমিয়ে রোগা হওয়ার দ্রুততম উপায় হল পর্যাপ্ত ঘুম। অনেকের ধারণা বেশি ঘুমলে মোটা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু বিষয়টি আসলে সম্পূর্ণ উল্টো। কম ঘুম হলে বরং বাড়তে পারে ওজন। এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ওজন কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চা, পরিমাণ মতো খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি ঘুমনোটাও কিন্তু অত্যন্ত জরুরি।
৩) ব্যায়াম ছাড়াও অন্যান্য শারীরির ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখুন: ওজন কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি। কিন্তু সেটুকু সময় ছাড়াও হাঁটাচলা কিন্তু বজায় রাখতে হবে। এই যেমন অফিসে লিফ্টে না উঠে সিঁড়ি ভেঙে উঠলেন। ঘরের টুকিটাকি জিনিস অনলাইনে না কিনে খানিক হেঁটে গিয়ে মোড়ের দোকান থেকে নিয়ে এলেন। জিমে যাওয়া শরীরচর্চা করার একমাত্র পথ নয়। নাচ করতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন, সাইকেল চালাতে পারেন।